‘থিয়েটার অব ড্রিমস’ বা স্বপ্নের রঙ্গশালা বলা হয় ওল্ড ট্রাফোর্ডকে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ঘরের মাঠ কত ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাক্ষী। সেই মাঠই নেতিবাচক কারণে আবারও আলোচনায়।
গত মে মাসে ওল্ড ট্রাফোর্ডের ছাদ ফুটো হয়ে বৃষ্টির পানিতে গ্যালারির একাংশ ভেসে যাওয়ার ভিডিও এখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসির খোরাক জোগায়। সম্প্রতি ওল্ড ট্রাফোর্ডের মিডিয়া কনফারেন্স রুমে কোচ রুবেন আমোরিমের সংবাদ সম্মেলনে সামনের সারিতে বসা সাংবাদিকদেরও ভিজিয়ে দেয় সিলিংয়ের ফুটো বেয়ে পড়া পানি। এ ঘটনাও কম সমালোচনার জন্ম দেয়নি।
মাঠের খেলায় ধুঁকতে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবার ইঁদুরের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইঁদুরের উপদ্রবের কারণে ক্লাবটির খাবারের স্বাস্থ্যবিধির মান সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে দুই রেটিংয়ে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। সমস্যায় জর্জরিত ক্লাবটি ওল্ড ট্রাফোর্ড পুনর্নির্মাণ করবে, নাকি নতুন কোনো স্টেডিয়াম বানাবে, সেটিও বিবেচনা করছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এসব তথ্য জানিয়েছে।
ক্লাবের এক মুখপাত্র ডেইলি মেইলকে বলেছেন, ‘আমরা ওল্ড ট্রাফোর্ডজুড়ে একটি শক্তিশালী কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা প্রয়োগ করেছি। আমাদের সব ক্যাটারিং এলাকা, বিশেষ করে যেখানে খাবার বানানো, পরিবেশন ও সংরক্ষণ করা হয়, সেখানে যেন স্বাস্থ্যবিধি ও পরিচ্ছন্নতার মাত্রা বেশি থাকে, তা নিশ্চিত করতে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। সপ্তাহে বেশ কয়েকবার এসব জায়গা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। স্টেডিয়ামে এ ধরনের ঘটনা (ইঁদুরের উপদ্রব) আবার ঘটলে তাৎক্ষণিক ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বৃহত্তর ম্যানচেস্টারের ট্রাফোর্ড কাউন্সিলের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমাদের পরিবেশবিষয়ক স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে ওল্ড ট্রাফোর্ড ঘুরে দেখার পর তাদের (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড) খাবারের স্বাস্থ্যবিধির মানকে দুই রেটিং দিয়েছে। আমরা এখন ক্লাবটির সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছি যেন তারা রেটিং মেনে চলে এবং প্রয়োজনীয় উন্নতি করে।’
একে তো স্টেডিয়ামের যা-তা অবস্থা, মাঠের পারফরম্যান্সেও বেহাল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এরিক টেন হাগকে ছাঁটাইয়ের পর রুবেন আমোরিম এসেও ক্লাবটির ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে পারেননি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এ মুহূর্তে ১৩ নম্বর অবস্থানে আছে রেড ডেভিলরা। পয়েন্ট তালিকার এত তলানিতে থেকে এর আগে কখনো ক্রিসমাস উদ্যাপন করেনি তারা।