ক্যালেন্ডারের শেষ পাতাটা এখন উল্টানোর অপেক্ষা! আর দুদিন পরই আসবে নতুন বছর, নতুন ক্যালেন্ডার। ফুটবলের জন্য মহানাটকীয় এক বছর ছিল ২০২২ সাল। ফুটবলের দায় শোধের বছরও এটি। বিশ্বকাপের বছরটিতে শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছেন যে লিওনেল মেসি, তাঁর নেতৃত্বেই ঘুচেছে আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের বিশ্বকাপ শিরোপা-খরার আক্ষেপ। তাই সব ছাপিয়ে বছরটা মেসির এবং তাঁর দল আর্জেন্টিনার। তবে মেসির উচ্ছ্বাসের বিপরীতে ছুঁয়ে গেছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কান্নায় মাঠ ছাড়ার দৃশ্যটিও। এ ছাড়া করিম বেনজেমার ব্যালন ডি’অর জয়, আর্লিং হলান্ডের গোলবন্যা এবং বিশ্বকাপে মরক্কোর রূপকথার গল্পও ছিল বছরের আলোচিত ঘটনাগুলোর একটি।
চূড়ায় মেসি ও রোনালদোর কান্না
বিশ্বকাপ ফুটবলের খণ্ড খণ্ড কিছু ছবি মনে করা যাক। নেইমার কাঁদছেন, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও কাঁদছেন, ফাইনাল শেষে কিলিয়ান এমবাপ্পের মুখটাও পাংশু। কেভিন ডি ব্রুইনা, জামাল মুসিয়ালারা পাথরকালো মুখে বিদায় নিয়েছেন তার আগেই। হাসিটা শেষ পর্যন্ত শুধু টিকে ছিল লিওনেল মেসির মুখে। ফুটবলে ২০২২ সালের মুখাবয়ব বলে যদি কিছু হয়, তাহলে সেটা এ রকম—মৃদু হাসি নিয়ে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটায় আলতো চুমো আঁকছেন মেসি!
শুধু বিশ্বকাপটা জিতেছেন বলেই তর্কের জায়গা নেই কিংবা খুব সামান্যই। খ্যাপাটে সমর্থকেরা বলতে পারেন, শুধু বিশ্বকাপ দিয়ে কি বছরের সেরার মূল্যায়ন হয়? উত্তরটা দেওয়া যেতে পারে পাল্টা প্রশ্নে, ক্লাব ফুটবলে এই যে এত এত শিরোপা জয়ের পরও বিশ্বকাপ জিততে না পারায় রোনালদোর মতো চরম বাস্তববাদী কিংবদন্তির চোখেও অশ্রু ঝরে কেন?
বিশ্বকাপের সঙ্গে আসলে কোনো কিছুর তুলনা চলে না। এটা এমন এক ট্রফি, যার জন্য মেসিকে অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে বছরের পর বছর। শুনতে হয়েছে সমালোচনার পর সমালোচনা। আরাধ্য সেই শিরোপা এ বছরের শেষ দিকে জিতে মেসি কি শুধু নিজের অপূর্ণতাই ঘুচিয়েছেন? না, সম্ভবত সর্বকালের সেরার বিতর্কেরও অবসান ঘটিয়েছেন। এ বছর তাই শুধু মেসিরই। বলতে পারেন, মেসির সব পাওয়ার বছর।
সব পাওয়াটা রূপক অর্থে বলা। আসলে বিশ্বকাপ জিতে মেসি গোটা ফুটবল বিশ্বেরই অপেক্ষা ঘুচিয়েছেন। যদিও এ বছরের শুরুতে তেমন আভাস মেলেনি। চলতি মৌসুম শুরু হয়েছে জুলাই-আগস্টে। তার আগে ২০২১-২২ মৌসুমটা কিন্তু মেসির ভালো কাটেনি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৪ ম্যাচে ১১ গোল। অন্তত ৩০ ম্যাচ খেলেছেন, এই হিসাব করলে ২০০৬-০৭ মৌসুম থেকে গত মৌসুমটাই মেসির সবচেয়ে বাজে কেটেছে। কিন্তু আগস্টে নতুন মৌসুম শুরুর পর থেকে আবার সেই পুরোনো মেসি!
বছরের শেষ দিকে বিশ্বকাপে মেসিকে নিয়ে পৃথিবীর সেই অপেক্ষার অবসান যে হতে যাচ্ছে, সেই ইঙ্গিত মিলেছে তাঁর পারফরম্যান্সেই। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৯ ম্যাচে ১২ গোল করে প্রস্তুতিটা নিয়েই রেখেছিলেন। তারপর? ক্লাব ফুটবলে কোনো কিছু জিততে বাকি না রাখা খেলোয়াড়টির মনের শোকেসে কেন্দ্রবিন্দুটাই শুধু ফাঁকা পড়ে ছিল। বিশ্বকাপে সেই শূন্যস্থান পূরণের পর কে বলবে বছরটা মেসির নয়!
বিশ্বকাপে মেসি কী করেছেন, তা কারও অজানা নয়। ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে জিতেছেন দুটি ‘গোল্ডেন বল’—২০১৪ বিশ্বকাপের পর এবার। নিজে করেছেন ৭ গোল। সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও ৩ গোল। ১৯৮৬ সালে ডিয়েগো ম্যারাডোনার পর এই ৩৬ বছরে বিশ্বকাপে মেসির আগে আর কোনো খেলোয়াড়ই গোল করা ও করানো মিলিয়ে অন্তত ১০ গোলে প্রত্যক্ষ অবদান রাখতে পারেননি। কাতার বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার সেই স্মৃতিই ফিরিয়েছেন মেসি। তার চেয়েও বড় কথা, ম্যারাডোনার মতোই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে জিতিয়েছেন বিশ্বকাপ। এরপর আর কী লাগে!
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে যেহেতু মেসির প্রতিদ্বন্দ্বিতা, তাই পর্তুগিজ তারকার এ বছরের পরিসংখ্যানের সঙ্গে মেসির তুলনাটা টানা যায়। ক্লাব ও দেশ মিলিয়ে এ বছর ৫১ ম্যাচ খেলেছেন মেসি। গোল করেছেন ৩৫টি, করিয়েছেন ৩০টি। রোনালদো ক্লাব ও দেশের জার্সিতে ৪৬ ম্যাচ খেলে ১৬ গোল করার পাশাপাশি করিয়েছেন ৪ গোল। পরিসংখ্যানটা আরেকটু ভাঙা যায়। পিএসজির হয়ে ৩৭ ম্যাচে মেসির গোলসংখ্যা ১৭টি, করিয়েছেন ২৪টি।
রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে নিয়মিত খেলার সুযোগ পাননি। তবু খেলেছেন ৩৪ ম্যাচ। একেবারে কম না! কিন্তু গোল করা এবং করানোয় মেসির পেছনে। ১৩ গোল করার পাশাপাশি করিয়েছেন ২ গোল।
ক্লাব ও দেশের জার্সি মিলিয়ে মেসি যেখানে প্রতি ১২৮ মিনিট অন্তর একটি করে গোল করেছেন, রোনালদো সেখানে ২১৬ মিনিট অন্তর জাল খুঁজে পেয়েছেন। মেসি গোল করিয়েছেন প্রতি ৬৯ মিনিট পর, রোনালদো সেখানে ১৭৩ মিনিট পর একটি করে গোল করিয়েছেন।
দেশের জার্সিতে খেলার প্রসঙ্গে আসা যাক। আর্জেন্টিনার জার্সিতে মেসি এ বছর ১৪ ম্যাচে ১৮ গোল করার পাশাপাশি ৬ গোল করিয়েছেন। ২০০৫ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের পর আর কোনো বছরেই এত গোল পাননি মেসি। বিশ্বকাপের বছর তাঁর এমন পারফরম্যান্স দেখেই খিদেটা বোঝা যায়।
রোনালদো পর্তুগালের জার্সিতে ১২ ম্যাচ খেলে এ বছর করেছেন ৩ গোল, করিয়েছেন ২ গোল। দেশের হয়ে মেসি প্রতি ৭০ মিনিট পর একটি করে গোল করেছেন এ বছর। ৫৩ মিনিট অন্তর একটি করে গোলে অবদান রেখেছেন। রোনালদো এখানে বেশ পিছিয়ে। ২৮৫ মিনিট অন্তর দেশের হয়ে একটি করে গোল করেছেন রোনালদো। আর ১৭১ মিনিট পরপর একটি করে গোল করিয়েছেন।
আসলে এসব তথ্য না দিলেও চলত। কারণ, সবার আরাধ্য শিরোপাটাই তো এ বছর জিতেছেন মেসি। যে শিরোপা জিততে না পারার কষ্টে কাঁদতে হয়েছে সব বড় তারকাকে। মেসি সেখানে বিশ্বকাপ ট্রফিতে এঁকেছেন ভালোবাসার চুমু। এটাই তো বছরের সেরা ছবি!
৩৬ বছরের অপেক্ষা ফুরোল আর্জেন্টিনার
সেই ১৯৮৬ সালে মেক্সিকোতে ডিয়েগো ম্যারাডোনার জাদুকরি বাঁ পায়ে ভর করে বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এরপর আরেকটি বিশ্বকাপ জিততে দেশটিকে অপেক্ষা করতে হলো আরও ৩৬ বছর। অবশেষে আরেকজন জাদুকর লিওনেল মেসির হাত ধরে এল আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিশ্বকাপটি। লুসাইলে ১৮ ডিসেম্বর আনন্দ-অশ্রুতে আর্জেন্টাইন ভক্তদের আক্ষেপ দূর করেছে মেসি আর তাঁর দল। মেসির হাতে শিরোপা দেখতে সেদিন আর্জেন্টাইনরাই শুধু নয়, বিশ্বব্যাপী আর্জেন্টিনার কোটি ভক্ত প্রার্থনায় ছিলেন। অবশেষে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে কাঁদিয়ে লাতিন দেশে বিশ্বকাপ ফেরায় আর্জেন্টিনা।
বেনজেমার ফিরে আসার গল্প
বিশ্বকাপ শুরুর আগমুহূর্তে চোটে পড়ে ছিটকে যাওয়া কিংবা অভিমানে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেওয়া—বছরের শেষটা করিম বেনজেমার জন্য ছিল এমনই হতাশার। তবে এরপরও লিওনেল মেসির পর প্রাপ্তির দিক থেকে এ বছর বেনজেমারও। এ বছরেই যে ফরাসি স্ট্রাইকার জিতেছেন নিজের প্রথম ব্যালন ডি’অর। বিতর্কে জড়িয়ে প্রায় পাঁচ বছর জাতীয় দলের বাইরে থাকায় একসময় বেনজেমার ক্যারিয়ারের শেষই দেখে ফেলেছিলেন অনেকে। রিয়াল মাদ্রিদেও লম্বা সময় ঢাকা পড়ে ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ছায়ায়। এরপরও হাল ছাড়েননি বেনজেমা। লড়াই করে আদায় করে নিয়েছেন নিজের প্রাপ্যটুকুও। রিয়ালকে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতিয়ে পেয়েছেন বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও।
ইউরোপের রাজা রিয়াল
চ্যাম্পিয়নস লিগ মানেই যেন অন্য এক রিয়াল মাদ্রিদ। ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে তাদের ধারেকাছেও কেউ নেই। নিজেদের সেই উচ্চতাকে এ বছর আরও বাড়িয়ে নিল ‘লস ব্লাঙ্কোস’রা। তবে ফাইনাল পর্যন্ত রিয়ালের যাত্রাটা একেবারে সহজ ছিল না। নকআউট পর্বে একাধিক ম্যাচে বিপাকে পড়েও বেনজেমার বীরত্বে উতরে পৌঁছে যায় ফাইনালে, যেখানে ভিনিসিয়ুস জুনিয়ের গোলে লিভারপুলকে হারিয়ে রিয়াল জিতে নেয় ১৪তম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। ইউরোপীয় মঞ্চে রিয়ালের পর দ্বিতীয় স্থানে থাকা এসি মিলান জিতেছে ৭টি শিরোপা।
গোলমেশিন হলান্ড
গ্রীষ্মের দলবদলে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে পাড়ি জমান আর্লিং হলান্ড। শুরুতে প্রিমিয়ার লিগের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মঞ্চে হলান্ড কতটা ভালো করবেন, তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন অনেকে। কিন্তু কিসের কী! মৌসুম শুরু হতেই ম্যাচের পর ম্যাচে গোল করে প্রিমিয়ার লিগের একের পর এক রেকর্ড ভাঙতে শুরু করেন এই নরওয়েজিয়ান তারকা। চলতি মৌসুমে তাঁর গোলসংখ্যা এখন পর্যন্ত ২০ ম্যাচে ২৬টি। শুধু প্রিমিয়ার লিগেই ১৪ ম্যাচ খেলে করেছেন ২০ গোল। মৌসুম শেষ হতে হতে হলান্ডের গোলসংখ্যা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
আর্সেনালের ফিরে আসা
প্রিমিয়ার লিগ শ্রেষ্ঠত্বের দৌড়ে আর্সেনালের নামটা যেন মুছেই গিয়েছিল। ২০০৩-০৪ মৌসুমের পর আর কখনো শিরোপা জেতা হয়নি গানারদের। আর্সেন ওয়েঙ্গারের বিদায়ের পর আরও হতশ্রী হয়ে পড়ে ক্লাবটির পারফরম্যান্স। তবে এ মৌসুমে মিকেল আরতেতার জাদুতে নতুন করে নিজেদের খুঁজে পেয়েছে আর্সেনাল। প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষস্থানে থেকেই বছর শেষ করতে যাচ্ছে তারা। বছরের শেষ দিন মাঠে নামার আগে আর্সেনালের পয়েন্ট ১৫ ম্যাচ শেষে ৪০। সমান ম্যাচ খেলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ৩৫। সব মিলিয়ে নতুন বছরে শিরোপা পুনরুদ্ধারের আশা করতেই পারে এমিরেটসের দলটি।
নাটকের এমবাপ্পে, নাটকীয় এমবাপ্পে
দলবদলের শুরু থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। নতুন মৌসুমে রিয়ালের জার্সিতে পথচলা যখন সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল, তখনই দেখা গেল নতুন চমক। রিয়ালকে ফিরিয়ে দিয়ে এমবাপ্পে থেকে যান পিএসজিতেই। এরপর নেইমারের সঙ্গে ‘দ্বন্দ্বে’ জড়িয়ে পুরো সময়টাতেই আলোচনায় ছিলেন এই ফরাসি তারকা। তবে বাইরে যা–ই ঘটুক, মাঠে এমবাপ্পে ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। ক্লাব ফুটবলের দারুণ ছন্দ ধরে রেখেই বিশ্বকাপে খেলতে যান ২৪ বছর বয়সী এই তারকা। সেখানেও তাঁকে আটকাতে পারেননি কেউ। ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে ফ্রান্স হেরে গেলেও এমবাপ্পে করেন দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক, যা কিনা বিশ্বকাপের ইতিহাসে ফাইনালে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক, প্রথমটি ১৯৬৬ বিশ্বকাপে ইংলিশ কিংবদন্তি জিওফ হার্স্ট করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ট্রফি জেতা না হলেও ৮ গোল করে জিতেছেন গোল্ডেন বুট।
মরক্কোর রূপকথা
বিশ্বকাপে এবার সবচেয়ে বড় চমক ছিল মরক্কো। আশরাফ হাকিমি-হাকিম জিয়েশদের মরক্কো প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে খেলেছে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হারলেও নিজেদের সেরাটা উপহার দিয়েছে তারা। এমনকি সেমিফাইনালের আগপর্যন্ত প্রতিপক্ষের কোনো খেলোয়াড় মরক্কোর জালে বলও জড়াতে পারেনি। ফাইনাল খেলতে না পারলেও ইতিহাস গড়েই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় আরব দেশটি।
মাঠের সংঘর্ষে সমর্থকদের মৃত্যু
ইন্দোনেশিয়ার কানজুরুহান ফুটবল স্টেডিয়ামে গত অক্টোবরে দর্শক হাঙ্গামায় পদদলিত হয়ে মারা যান অন্তত ১৩৩ জন। এ ঘটনায় আহত হয় আরও অনেকে। আরেমা এফসি ও পেরসেবায়া সুরাবায়া নামের দুটি ফুটবল ক্লাবের মধ্যকার খেলায় এ ঘটনা ঘটে। ম্যাচে আরেমাকে ৩-২ গোলে হারায় পেরসেবায়া। এ ম্যাচ দিয়ে দুই দশকের বেশি সময়ের মধ্যে পেরসেবায়ার কাছে প্রথম হেরেছিল আরেমা। হারের পর স্টেডিয়ামে থাকা আরেমার দর্শকেরা মাঠে নেমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। তাঁদের থামাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এতে দর্শকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এ সময় হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে নিহত হন দুই দলের সমর্থকেরা।
ইংলিশ মেয়েদের ইউরোপ জয়
২০২১ সালের ইউরোতে ওয়েম্বলির ফাইনালে হ্যারি কেইনের ইংল্যান্ড টাইব্রেকারে হেরে যায় ইতালির বিপক্ষে। সেই ওয়েম্বলিতেই ফুটবলে ইংলিশদের সাফল্য–খরা দূর করেছে দেশটির মেয়েরা। ইতিহাস গড়ে জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরো জেতে তারা। ৬২ মিনিটে এলা টুনির গোলে ইংল্যান্ড এগিয়ে গেলেও জার্মানি ৭৯ মিনিটে সমতায় ফেরে লিনা ম্যাগগালের গোলে। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে ১১০ মিনিটে গোল করে ইংলিশদের আনন্দে ভাসান ক্লোয়ে কেলি।