পিএসজিতে নেইমারের সঙ্গে জুটি বেঁধে খেলেছিলেন হাভিয়ের পাস্তোরে। সে সময় নেইমারকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন এ আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার। সম্প্রতি আর্জেন্টাইন সংবাদপত্র ‘লা ন্যাসিওন’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেইমারকে নিয়ে নিজের মত জানিয়েছেন পাস্তোরে।
নেইমারকে নিজের দেখা সবচেয়ে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের একজন বললেও ব্রাজিলিয়ান তারকাকে নিয়ে আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন পাস্তোরে। বর্তমানে কাতার স্পোর্টস ক্লাবে খেলা এ মিডফিল্ডার বলছেন, নেইমার ফুটবলে শতভাগ মনোযোগী না হওয়ায় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কাতারে যেতে পারেননি।
পিএসজিতে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে একসঙ্গে খেলেছেন নেইমার ও পাস্তোরে।
নেইমারকে কেমন দেখেছেন, তা জানাতে গিয়ে পাস্তোরে বলেছেন, ‘নেইমার একজন ফেনোমেনন। খুবই দারুণ একজন মানুষ। সে নিজের মনমতো জীবনযাপন করে। কেউ তার জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। মেসি ছাড়া নেইমারের মতো এমন প্রতিভাবান খেলোয়াড় আমি আর দেখিনি।’
নেইমারের প্রশংসা করতে গিয়ে পাস্তোরে যোগ করেন, ‘তার মধ্যে সব গুণ আছে। প্রতিক্রিয়া জানানোয়? সে সেরা। গতিতে? দারুণ গতিময়। বল পরিচালনায়? সেখানেও সে সেরা। আর ড্রিবলে? সে আপনার সঙ্গে যা খুশি করতে পারে। ফিনিশিং? যেকোনো পায়ে গোল করতে পারে। লাফানো? অনেক উঁচুতে উঠতে পারে। তার মধ্যে সব আছে।’
তবে নেইমারকে পাস্তোরে আক্ষেপও করেছেন, ‘আপনি যদি স্বপ্নের খেলোয়াড়ের কথা বলেন, তবে আপনি নেইমারের কথা বলবেন। যদি সে চাইত তবে সে ব্যালন ডি’অরের জন্য মেসি-রোনালদোর সঙ্গে লড়াই করতে পারত। কিন্তু সে একেবারেই ভিন্নভাবে জীবনযাপন করে। ফুটবলের জন্য সে নিজেকে শতভাগ উজাড় করে দেয় না।’
২০১৭ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বশেষ খেলা পাস্তোরে নেইমারকে নিয়ে নিজের কথার ইতি টানেন এভাবে, ‘আমি তাকে অনেক ভালোবাসি। চোটে পড়ার পর তাকে অনেক বার্তা দিয়েছি। পিএসজিতে শুরুর দিকে আমি তাকে দাম্ভিক মনে করেছিলাম। কিন্তু আমি ভুল ছিলাম।’
নেইমার চোটে পড়েছিলেন গত বছর অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে। গত ডিসেম্বরে তাঁর কোপা আমেরিকায় খেলতে না পারার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার। ১৪ মার্চ জানা গিয়েছিল, লাসমারের হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা করিয়েছেন নেইমার।
পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়া নেইমার এখন মাঠে ফিরতে মরিয়া। আল-হিলালের চিকিৎসক দলের পর্যবেক্ষণে থেকে পেশির শক্তি বাড়ানোর কাজ করছেন তিনি। নেইমার শেষ পর্যন্ত পুরো ফিট হয়ে কবে মাঠে ফেরেন, সেটাই দেখার বিষয়।