ঘুষিকাণ্ডে ক্ষমা চাওয়ার পর একসঙ্গে অনুশীলন করেছেন সাদিও মানে ও লিরয় সানে
ঘুষিকাণ্ডে ক্ষমা চাওয়ার পর একসঙ্গে অনুশীলন করেছেন সাদিও মানে ও লিরয় সানে

বলছেন গার্দিওলা

সানে-মানের ‘মারামারি’ বায়ার্নের ভালোও করতে পারে

হয় জয় পাও, নয় ছিটকে যাও—আগামী বুধবার ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে এমন একটি ম্যাচে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বায়ার্ন মিউনিখ। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠতে হলে ঘরের মাঠে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটি জিততেই হবে বায়ার্নকে। আগের সপ্তাহে প্রথম লেগের ম্যাচে সিটির মাঠ থেকে ৩-০ গোলে হেরে এসেছে তারা।

শুধু প্রথম লেগে হারার কারণেই নয়, এ ম্যাচের আগে দলের মধ্যে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার কারণেও হয়তো অস্বস্তি থাকতে পারে বায়ার্নে। প্রথম লেগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ৬৯ মিনিটে বদলি হিসেবে নামেন সাদিও মানে। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে কিছু একটা নিয়ে বায়ার্ন মিউনিখ সতীর্থ লিরয় সানের সঙ্গে তর্কে জড়ান সেনেগালের তারকা। ৩-০ ব্যবধানে হারের পর সেই তর্ক আরও বাড়ে।

শান্ত স্বভাবের মানে ড্রেসিংরুমে হঠাৎ মাথা গরম করে সানের মুখে ঘুষি মেরে বসেন। এতে সানের ঠোঁট ফেটে রক্ত ঝরে। পরে অবশ্য দলের অনুশীলনে সতীর্থের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন মানে। সেনেগালিজ তারকাকে জার্মান উইঙ্গার ‘ক্ষমা করে দিলেও’ ক্লাব কর্তৃপক্ষ ছাড় দেয়নি। অসদাচরণের দায়ে মানেকে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ ও জরিমানা করে বায়ার্ন মিউনিখ।

মানের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গত পরশু, বুন্দেসলিগায় হফেনহাইমের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। আগামী পরশু চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে কি খেলবেন মানে? কোচ টমাস টুখেল বলেছেন, সবকিছু মিটমাট হয়ে গেছে।

সবকিছু মিটমাট হয়ে গেলেও এর প্রভাব কি মাঠে পড়বে না? প্রশ্নটি করা হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলাকেও। এর উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘কখনো কখনো দলকে এক সুতায় গাঁথতে ঝগড়াঝাঁটির দরকার আছে। আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত। এটা কোনো দুর্বলতা নয়। আমাদের বিপক্ষে (বায়ার্নের) এটা শক্তির জায়গা।’