ভিনিসিয়ুস জুনিয়র সামান্য স্পর্শেই মাঠে পড়ে যান—এমন একটা সমালোচনা প্রায়ই তাঁর প্রতিপক্ষ দলগুলো করে থাকে। রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারের বিরুদ্ধে রেফারিদের সঙ্গে ঝামেলা করার অভিযোগও করেন কেউ কেউ। এ ছাড়া তিনি ড্রিবলিং দিয়ে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের লজ্জা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ আছে।
সৌদি আরবের রিয়াদে কাল স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালেও অসাধারণ খেলেছেন ভিনিসিয়ুস। দুর্দান্ত ড্রিবলিংয়ে বার্সেলোনার রক্ষণ করে দিয়েছেন এলোমেলো। তাঁকে রুখতে দুবার মারাত্মক ফাউল করে দুটি হলুদ কার্ড দেখেছেন বার্সেলোনার রোনালদ আরাউহো। ফলে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে।
কিন্তু যেটা আসল কাজ, ভিনিসিয়ুসকে থামানো, সেটা করতে পারেনি বার্সার কেউ। অসাধারণ এক হ্যাটট্রিক করে বার্সেলোনার বিপক্ষে রিয়ালকে ৪–১ গোলের জয় এনে দিয়েছেন ভিনি। এই জয়ের পর রিয়ালের স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ের নায়ক ভিনিসিয়ুস বললেন, ‘আমি সন্ত নই।!’
ভিনির অভিযোগ, গতকাল রাতেও তাঁর সঙ্গে ঝামেলা করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল বার্সার খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের কেউ কেউ। দ্বিতীয়ার্ধে যেমন তাঁর সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন বার্সেলোনার মিডফিল্ডার সের্হিও রবার্তো। ম্যাচ শেষে এ নিয়ে ২৩ বছর বয়সী ভিনিসিয়ুস বলেছেন, ‘আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। কারণ, সবাই আমার সঙ্গে লড়াই করতে চায়। এরও একটা কারণ আছে। তারা জানে এটা সংবাদমাধ্যমে আসবে।’
ভিনি এরপর যোগ করেন, ‘আমি আমার সতীর্থদের জন্য সম্ভাব্য সেরাটা খেলতে ম্যাচে মনোযোগ দিই। কিন্তু অমি সন্ত নই। কখনো কখনো বেশি কথা বলি আর ড্রিবল করি। যেগুলো আমার হয়তো করা উচিত নয়। কিন্তু আমি এখানে এসেছি সামনে এগিয়ে যেতে।’
ভিনিসিয়ুস এখানেই থামেননি। সঙ্গে যোগ করেন, ‘আমি উন্নতি করতে চাই। আমার সতীর্থরা আর কোচ আমাকে দেখিয়ে দেন, কী করতে হবে।’
৩৯ মিনিটের মধ্যেই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ভিনিসিয়ুস। বার্সেলোনার খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের সঙ্গে ঝামেলার কিছুক্ষণ পর ৮২ মিনিটে তাঁকে মাঠ থেকে তুলে নেন রিয়ালের ইতালিয়ান কোচ কার্লো আনচেলত্তি। এটা কি ঝামেলা এড়ানোর জন্যই? আনচেলত্তি বললেন, ‘সে অনেক পরিশ্রম করেছে বলে আমি তাকে তুলে নিয়েছি। ঝামেলা এড়াতে নয়।’