আর্জেন্টিনার সামনে আর মাত্র দুটি ধাপ। এই দুই ধাপ পার হলেই ৩৬ বছরের বিশ্বকাপ শিরোপা-খরা কাটবে আর্জেন্টিনার। ৩৬ বছর আগে আর্জেন্টিনাকে শিরোপা এনে দিয়েছিলেন ফুটবল জাদুকর ডিয়েগো ম্যারাডোনা। এরপর সেই দায়িত্ব কাঁধে এসে পড়ে আরেক খুদে জাদুকর লিওনেল মেসির কাঁধে। আগের চারবারের চেষ্টায় তিনি পারেননি, অনেকেই বলছেন, এবার তাঁর শেষ সুযোগ। কাতারই যে মেসির সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে মেসিও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এটাই হতে পারে তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। একে তো ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের তাড়ণা, এর সঙ্গে মেসিকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখার বাসনা! এই দুই কারণে বিশ্বকাপ জিততে আর্জেন্টিনা যেমন অনেক বেশি মরিয়া, তেমনি বাড়তি চাপেও আছে।
সেমিফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্লাতকো দালিচ হয়তো সে কথা মাথায় রেখেই বলেছেন, ‘লিওনেল মেসি নেতৃত্বে আছেন, এমন অসাধারণ একটি দলের বিপক্ষে খেলব আমরা। তারা বিশ্বকাপ জেতার জন্য মরিয়া হয়ে আছে। কিন্তু এই মুহূর্তে ক্রোয়েশিয়ার চেয়ে চাপে আছে আর্জেন্টিনাই।’
কোয়ার্টার-ফাইনালে আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডসের মাঠের লড়াইটা হয়েছিল জমজমাট। মাঠের বাইরেও দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এই ম্যাচে রেফারি আর্জেন্টিনার কোচ ও তার সহকারীসহ দুই দলের ফুটবলারদের মোট ১৮টি কার্ড দেখান। ক্রোয়েশিয়া কোচ দালিচ আশা করছেন, সেমিফাইনালে তেমন কিছু ঘটবে না।
ক্রোয়েশিয়া কোচের কথা, ‘আমাদের কোনো ক্ষোভ নেই, এমনটা হয়েই থাকে। আবেগের বশে আমি কারও ওপর রাগ করি না। ফুটবলের বাইরের অনেক বিষয়ের কারণে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আর্জেন্টিনাও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিল। আশা করি, মঙ্গলবার এমন কিছু হবে না।’