রোকুজ্জের সঙ্গে মেসি
রোকুজ্জের সঙ্গে মেসি

মেসির সৌদির ফুটবলে খেলা নিয়ে ‘দ্বিধায়’ রোকুজ্জো

মেসির সৌদি আরব সফর আর তাঁর সেখানকার ফুটবলে নাম লেখানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা যেন শেষই হওয়ার নয়। পিএসজির অনুশীলন বাদ দিয়ে কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের ও ক্রীড়া উপদেষ্টা লুইস কাম্পোসের অনুমতি ছাড়াই মেসি হঠাৎ কেন সৌদি আরব গিয়েছিলেন? এ প্রশ্নে সাদাচোখে দেখে বেশির ভাগ মানুষই বলেছিলেন, মেসির এ সফর ছিল সৌদি আরবের পর্যটনদূত হিসেবে কাজ করার অংশ।

সেই সময়ে ফিফা এজেন্ট মার্কো কির্দিমের মেসির সৌদি সফর নিয়ে অবশ্য বলেছিলেন অন্য কথা। সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ ও পিএসজির চেয়ারম্যান নাসের আল-খেলাইফির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কির্দিমের মেসির সৌদি সফরের কারণ হিসেবে বলেছিলেন, আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আসলে সেখানে সম্ভাব্য থাকার জায়গা দেখতে গিয়েছিলেন।

কির্দিমের একই সঙ্গে বলেছিলেন, সৌদি আরবের পরিবেশ ও পরিস্থিতি দেখে মেসির স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো যদি তাঁর সেখানকার ফুটবলে খেলার পক্ষে রায় দেন, তাহলে তিনি আল-হিলালে নাম লেখাতেও পারেন।

সৌদি আরবে সপরিবারে ঘুরতে গিয়েছিলেন মেসি

সৌদি আরবের আবহটা হয়তো রোকুজ্জোর খুব একটা পছন্দ হয়নি। ফ্রান্সের পত্রিকা লেকিপের খবর অন্তত সেটাই বলে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী মেসিকে দুই বছরের জন্য ৪০ কোটি ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছে সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলাল। মেসিও নাকি এই প্রস্তাব নিয়ে ভাবছেন। কিন্তু লেকিপের খবর বলছে, রোকুজ্জো সৌদি আরবের ফুটবলে মেসির নাম লেখানো নিয়ে দ্বিধায় আছেন।

রোকুজ্জো চাইছেন, মেসি ইউরোপের ফুটবলেই থাকুক। সেটাই যদি হয়, তাহলে পিএসজি মেসিকে রাখতে নতুন করে যে উদ্যোগ নিচ্ছে এবং নতুন চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে চাইছে, মেসি হয়তো সেটিতে সাড়া দেবেন।

এ ছাড়া বার্সেলোনাও মেসিকে পেতে চায়। সৌদি আরবে না গেলে এবং পিএসজি ছাড়তে চাইলে আর্থিক দিক বিবেচনা না করে মেসি বার্সেলোনাতেও যেতে পারেন।