শীতকালীন দলবদল শুরু হতেই আলোচনার কেন্দ্রে কিলিয়ান এমবাপ্পে। এই ফরাসি তারকা পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যাবেন কি না, তা নিয়েই যত আলোচনা। পিএসজির সঙ্গে এমবাপ্পের চুক্তির মেয়াদ জুন পর্যন্ত থাকলেও এরই মধ্যে রিয়াল নাকি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। যত দ্রুত সম্ভব এমবাপ্পের কাছ থেকে সিদ্ধান্তও জানতে চেয়েছে তারা। এর আগেও অবশ্য রিয়াল-এমবাপ্পে দলবদল প্রসঙ্গ একাধিকবার আলোচনায় এসেছিল।
এমনকি এমবাপ্পের রিয়ালে যাওয়াও মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। তবে সেখান থেকেই বারবার পরিস্থিতি বদলেছে এবং শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপজয়ী এই ফরোয়ার্ড পিএসজিতেই থেকে গেছেন। তবে এবার নাকি কঠোর পথে হাঁটছে রিয়াল। এবার না এলে এমবাপ্পের জন্য রিয়ালে আসার পথ স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
এর মধ্যে সাবেক পিএসজি ও ফরাসি খেলোয়াড় ক্রিস্তফ দুগারি বলেছেন, তিনি আশা করেন, এমবাপ্পে এবার পিএসজি ছেড়ে চলে যাবেন। পাশাপাশি এমবাপ্পে উদ্যম হারিয়ে ফেলেছেন বলেও মন্তব্য করেছেন বিশ্বকাপজয়ী এই ফরোয়ার্ড।
এমবাপ্পে উদ্দীপনা হারিয়ে ফেলেছে উল্লেখ করে দুগারি বলেন, ‘আমি মনে করি এমবাপ্পে নিরুদ্যম হয়ে পড়েছে। মন থেকে আমি আশা করি যে সে ক্লাব ছেড়ে চলে যাবে। আমার ধারণা, সে প্রতিনিয়ত আরও বেশি অনুমানযোগ্য হয়ে পড়েছে। সে তার শক্তি এবং খেলোয়াড়ি চরিত্র হারিয়ে ফেলেছে। ম্যাচ থেকে সে প্রায়ই হারিয়ে যায়।’
এমবাপ্পেকে তৈরি হওয়া জটিলতার কারণে পিএসজির সময়টাও ভালো যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন দুগারি। তিনি বলেন, ‘সে সব রকম ক্ষমতা চায়। আপনার মনে হবে সে একটা ছোট শিশু। এখানে পারস্পরিক সমঝোতার কোনো আবহ নেই। কয়েক মাস ধরেই পিএসজির পরিস্থিতি ভালো যাচ্ছে না।’
এর আগে গত মাসে এমবাপ্পের সঙ্গে কোচ লুইস এনরিকের বিরোধের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। সে সময় দুজনের সম্পর্ক নিয়ে এনরিকে বলেছিলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক সব সময় ভালো। তবে আমাদের মধ্যে এখনো জুটি গড়ে উঠেনি। কাছাকাছি পর্যায়ে আছে। সে আসলে নিজেই আমার সঙ্গে জুটি বাঁধতে চায় না। জানি না কেন সাংবাদিকেরা এই প্রশ্ন করে চলেছেন। দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ের সঙ্গেই আমার সুসম্পর্ক আছে। এমবাপ্পের সঙ্গেও আমার সম্পর্ক শুরু থেকে আন্তরিক। সে এমন একজন, যে সব সময় হাসি-ঠাট্টা করে। শুধু তাকে নিয়েই নয়, দলের সবাইকে নিয়েই আমি আনন্দিত। এমনকি যারা খুব একটা দলে সুযোগ পায় না, তাদের নিয়েও।’