বাংলাদেশ–মালদ্বীপ ম্যাচের একটি মুহূর্ত
বাংলাদেশ–মালদ্বীপ ম্যাচের একটি মুহূর্ত

সুযোগ নষ্টের মহড়া দিয়ে মালদ্বীপের সঙ্গে ড্র

বাংলাদেশ ১–১ মালদ্বীপ

গোলের খেলা ফুটবলে গোল করাই আসল। ভুটানের থিম্পুতে সাফ অনূর্ধ্ব–১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে আজ মালদ্বীপের বিপক্ষে নিজেদের বাঁচা–মরার লড়াইয়ে সেটি খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের গোলে হারের পর মালদ্বীপের সঙ্গে ১–১ গোলে ড্র করেছেন লাল–সবুজের ছেলেরা।

এই ড্রয়ে সেমিফাইনাল খেলার জন্য তাকিয়ে থাকতে হবে ভারত–মালদ্বীপ শেষ ম্যাচের দিকে। ভারতের সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত, ভারতের বিপক্ষে জিতলে তো কথাই নেই, ড্র করলেও সেমিতে উঠে যাবে মালদ্বীপ।

এ ম্যাচে বাংলাদেশ যে কত সুযোগ নষ্ট করেছে, সেটির হিসাব রাখাই মুশকিল। শুরু থেকে মালদ্বীপের ওপর চাপ তৈরি করেও ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতা ছিল সীমাহীন। মালদ্বীপের ডি বক্সে কখনো এলোমেলো পাস, কখনো লক্ষ্যহীন শট, আক্রমণে উঠে গোলমুখে ঠিকমতো বল রাখতে না পারার ব্যর্থতা ভুগিয়েছে শুরু থেকেই। মালদ্বীপের অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে সবকিছু গুলিয়ে ফেলাই ছিল এ ম্যাচে বাংলাদেশের খেলার বৈশিষ্ট্য।

২৩ মিনিটে অবশ্য মালদ্বীপের জালে বল ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়। বাংলাদেশের তিন ফরোয়ার্ড মোর্শেদ চৌধুরী, অপু রহমান, নাজমুল হুদা ফয়সালদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব দেখা গেছে। ৪০ মিনিটে নাজমুল হুদা ফয়সাল মালদ্বীপের গোলকিপার হাসান মাহিল নাসিরকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি। মোর্শেদ আলী আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়েছেন, কিন্তু এলোমেলো আক্রমণভাগ গোল করতে পারেনি। প্রথমার্ধে মালদ্বীপের গোলকিপার হাসান মাহিল একাই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডদের সামনে।

মালদ্বীপের গোলকিপার হাসান মাহিল বেশ কয়েকটি সেভ করেছেন

দ্বিতীয়ার্ধে মালদ্বীপের ওপর শুরু থেকেই চাপ বাড়িয়েছিল বাংলাদেশ। ৪৯ মিনিটে মালদ্বীপের রক্ষণ ভাঙেন মোর্শেদ চৌধুরী। বক্সের ওপর থেকে বাঁ পায়ের দারুণ এক শটে দলকে ১–০ গোলে এগিয়ে দেন মোর্শেদ। ৫১ মিনিটে ২–০ হতে পারত মোর্শেদ আলীই ফাঁকা পোস্টের সামনে বলে পা ছোঁয়াতে পারলে।

৫৭ মিনিটে আবারও মোর্শেদের সুযোগ নষ্ট; ৫৯ মিনিটে বদলি নামা রিফাত কাজীর শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে। ৬৪ মিনিটে রিফাত কাজী আরও একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। ৬৯ মিনিটে মালদ্বীপের জালে বল পাঠিয়েছিলেন অপু রহমান, কিন্তু নেপালি রেফারি সেটি ফাউলের কারণে বাতিল করে দেন।

৭৪ মিনিটে আবারও সহজ সুযোগ নষ্ট করেন অপু রহমান। ৭৯ মিনিটে বাংলাদেশের মধ্যমাঠের খেলোয়াড়েরা আক্রমণে ওঠার সময় বল হারালে প্রতি আক্রমণ থেকে মালদ্বীপকে সমতায় ফেরায় তাদের অধিনায়ক মোহাম্মদ ইমরান।

গোলের অনেক সুযোগ নষ্ট করেছে বাংলাদেশ

৮৪ মিনিটে মোর্শেদ আর রিফাত কাজী একই আক্রমণ থেকে দুবার গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন। ৮৬ মিনিটে অধিনায়ক নাজমুল হুদা মালদ্বীপের গোলকিপারকে কাটিয়েও ফাঁকা পোস্টে বল ঠেলতে পারেননি। তাঁর শট পোস্টে লেগেছে। যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডরা।