ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ২০২৩ ফিফা নারী বিশ্বকাপ শিরোপা জেতে স্পেন
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ২০২৩ ফিফা নারী বিশ্বকাপ শিরোপা জেতে স্পেন

ফিফা র‍্যাঙ্কিং

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েও স্পেন দুইয়ে, প্রথমবার শীর্ষে সুইডেন

ফিফা নারী বিশ্বকাপে শিরোপা জিতলেও র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠতে পারেনি স্পেন। প্রথমবারের মতো মেয়েদের ফুটবলে র‍্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে সুইডেন।

তবে স্পেন বা সুইডেন নয়, র‍্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। চারবারের বিশ্বকাপজয়ীরা ছয় বছরের বেশি সময় পর র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান থেকে ছিটকে গেছে। হালনাগাদ র‍্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়েছে বাংলাদেশও।

২ ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশের মেয়েদের ফুটবল দল ১৪২ নম্বরে নেমেছে। আজ ফিফার হালনাগাদ র‍্যাঙ্কিংয়ে এ সব তথ্য জানানো হয়।

আজকের আগে সর্বশেষ র‍্যাঙ্কিং হালনাগাদ করা হয়েছিল ৯‍ জুন। তখন সর্বোচ্চ ২০৯০ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালের ২৩ জুনের পর থেকে শীর্ষে অবস্থান করছিল তারা। দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি ছিল দুইয়ে। তিনে ছিল সুইডেন।

এবারের বিশ্বকাপে শেষ ষোলো থেকে কান্নায় বিদায় নেয় যুক্তরাষ্ট্র

অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০২৩ ফিফা বিশ্বকাপে জার্মানি প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয়। আর দ্বিতীয় রাউন্ডে সুইডেনের কাছে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নেয় যুক্তরাষ্ট্র। টুর্নামেন্টের প্রথম দিকেই বিদায় নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির ব্যর্থতার ছাপ পড়ে র‍্যাঙ্কিংয়ে। হালনাগাদ র‍্যাঙ্কিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তিনে, জার্মানি ছয়ে।

মেয়েদের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি শিরোপাজয়ী দুই দলের জায়গায় এসেছে সুইডেন ও স্পেন। সেমিফাইনালে স্পেনের কাছে হেরে যাওয়া সুইডেনের পয়েন্ট ২০৬৯.১৭, যা সব কটি দলের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২১ সালে দুইয়ে উঠেছিল সুইডিশ মেয়েরা।

প্রথমবার ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছে সুইডেন

স্পেন বিশ্বকাপ জিতলেও গ্রুপ পর্বে জাপানের কাছে ৪-০ গোলে হেরে যাওয়ায় তাদের পয়েন্ট ২০৫১.৫৪, র‍্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান দুইয়ে। ফাইনালে স্পেনের বিপক্ষে খেলা ইংল্যান্ড আগের মতো চার নম্বরেই অবস্থান করছে। পঞ্চম স্থানে থাকা ফ্রান্সও আগেই একই অবস্থানে ছিল।

ওপরের সারির মতো নিচের দিকেও বেশ কয়েকটি অদল-বদল ঘটেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ দুই ধাপ পিছিয়েছে। জুলাইয়ে ঢাকায় নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেন সাবিনা খাতুনরা। প্রথম ম্যাচ ১-১ সমতায় শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচের নিষ্পত্তি হয় টাইব্রেকারে। যেখানে ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় নেপাল। ওই হারের জেরে ১৪০ থেকে ১৪২-এ নেমে গেছে বাংলাদেশ।