প্রথম গােলে সহায়তা করেন কানসেলো
প্রথম গােলে সহায়তা করেন কানসেলো

বায়ার্নের হয়ে মাঠে নেমেই গার্দিওলাকে জবাব দিলেন কানসেলো

পেপ গার্দিওলাকে জবাবটা ভালোই দিলেন জোয়াও কানসেলো। দলবদলের এক দিন পরই বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে মাঠে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন এই পর্তুগিজ ফুটবলার। জার্মান কাপে মেইঞ্জের বিপক্ষে তাঁর অ্যাসিস্টে শুরুতেই এগিয়ে যায় বায়ার্ন মিউনিখ। সর্বশেষ তিন ম্যাচেই ড্র করা বায়ার্ন গতকাল বছরের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে। মেইঞ্জের বিপক্ষে তারা জিতেছে ৪-০ গোলে।

ম্যানচেস্টার সিটির শুরুর একাদশে জায়গা হচ্ছিল না কানসেলোর। বিশ্বকাপের পর খেলা ১০ ম্যাচের মাত্র ৩টিতে শুরুর একাদশে ছিলেন লেফট ব্যাক কানসেলো। ক্লাব ছাড়তে হয়েছে কোচ পেপ গার্দিওলার সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে।

বায়ার্ন কোচ ইউলিয়ান নাগেলসমান অবশ্য শুরুর একাদশেই জায়গা দিয়েছেন এই পর্তুগিজকে। রাইট উইং ব্যাক হিসেবে মাঠে নেমে তাঁর পার্থক্য গড়ে দিতে খুব বেশি সময় লাগেনি। ম্যাচের ১৭ মিনিটে তাঁর ক্রস থেকে গোল করেন চুপো মোটিং। বায়ার্নের হয়ে বাকি তিনটি গোল করেন জামাল মুসিয়ালা, লিরয় সানে ও আলফানসো ডেভিস।

কানসেলোর এই ক্রসেই গোল করেন চুপো মোটিং

কানসেলোর পারফরম্যান্সে মোটেই অবাক নন বায়ার্ন কোচ নাগেলসমান, ‘জোয়াও দুর্দান্ত একটা ম্যাচ খেলেছে। মাঠে ও বেশ সৃজনশীল ছিল, দুর্দান্ত কিছু পাস দিয়েছে, বল নিয়ে দুর্দান্ত কিছু দৌড়ও দিয়েছে। আমি তাকে বলেছিলাম বেশি কিছু না ভেবে তার সহজাত খেলাটা খেলতে। ওর পারফরম্যান্সে আমি অবাক নই।’

গার্দিওলার সিটিতে একসময় নিয়মিত মুখ ছিলেন কানসেলো। তবে চলতি মৌসুমে মাঠে কম সময় পাওয়া নিয়ে আগে থেকেই বিরক্ত ছিলেন কানসেলো। এর মধ্যে গার্দিওলার সঙ্গে বিশ্বকাপের পর থেকে তাঁর সম্পর্কের পারদটাও ক্রমাগত নিচের দিকে নামছিল। পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে ২৮ বছর বয়সী এই তারকা সিটি ছাড়ার হুমকি দেন।

তখন বায়ার্ন থেকে ধারের প্রস্তাব এলে ক্লাবও তাঁকে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে দেয়। আপাতত ধারে গেলেও মৌসুম শেষে ৬১ মিলিয়ন পাউন্ডে কানসেলোকে পাকাপাকিভাবে কিনে নেওয়ার সুযোগ আছে বায়ার্নের।