লিভারপুলে ইয়ুর্গেন ক্লপের স্থলাভিষিক্ত হওয়া—সম্ভবত এই মুহূর্তে কোনো কোচের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ক্লপ হয়তো নিজের সময়ের সবচেয়ে সফল কোচ নন, কিন্তু জনপ্রিয়তার দিক থেকে ক্লপ অনেক সফল কোচের চেয়ে এগিয়ে। লিভারপুল–সমর্থকদের কাছে ক্লপের অবস্থান কেমন, সেটা তাঁকে দেওয়া বিদায় সংবর্ধনার দিকে ফিরে তাকালেই বোঝা যাবে।
প্রিমিয়ার লিগের শেষ দিনে সব ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠেছিল ক্লপের বিদায়। পাশাপাশি এর আগে–পরেও ছিল নানা আয়োজন। এমন একজন কোচের জায়গায় আর্নে স্লট এসেছেন লিভারপুলের কোচ হয়ে। এরই মধ্যে লিভারপুলের হয়ে অভিষেকও হয়েছে তাঁর। প্রথম ম্যাচে ইপসউইচ টাউনের বিপক্ষে ২–০ গোলে জিতেছে ‘অল রেড’রা। তবে স্লটের আসল অভিষেকটা হবে রোববার রাতে ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে।
এই দিন প্রথমবারের মতো অ্যানফিল্ডের ডাগআউটে দাঁড়াবেন। লিভারপুল–সমর্থকদের গর্জনে উত্তাল এই মাঠকে প্রতিপক্ষ দলগুলোর জন্য বিভীষিকা হিসেবে দেখা হয়। এমনকি এই মাঠ স্বাগতিক দল আর তাদের কোচকেও অনেক চাপে রাখে। সেই চাপ মাথায় নিয়েই রোববার ডাগআউটে দাঁড়াবেন স্লট। তবে এই ম্যাচের আগে কোনো ধরনের স্নায়ুচাপ অনুভব করছেন না বলেই মন্তব্য করেছেন এই ডাচ কোচ।
স্লট অ্যানফিল্ডে নিজের প্রথম ম্যাচ নিয়ে বলেছেন, ‘আমি আশা করছি, আমাদের সমর্থকেরা ইপসউইচ–সমর্থকদের চেয়ে দ্বিগুণ জোরে চিৎকার করবে। আমি একদমই স্নায়ুচাপে ভুগছি না। এই মুহূর্তে অবশ্যই নয়। কারণ, আমি প্রস্তুতির মাঝে আছি। রোববারের ম্যাচের জন্য দলকে প্রস্তুত করছি এবং একেবারেই স্নায়ুচাপে ভুগছি না।’
স্নায়ুচাপে ভোগা কেন ক্ষতিকর, তা ব্যাখ্যা করে স্লট বলেছেন, ‘স্নায়ুচাপে ভোগাটা একেবারেই ভালো ব্যাপার নয়। আমি এবং আমার স্টাফরা সম্ভাব্য সেরা উপায়ে দলকে প্রস্তুত করেছি। তাই আমি আত্মবিশ্বাসী।’
তবে এখনো যে স্লটের অনেক কিছু শেখার আছে, সেটাও মেনে নিয়েছেন তিনি, ‘আমি প্রতিদিন খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগতভাবে এবং দলবদ্ধ হয়ে তারা কীভাবে খেলে, সেটা নিয়ে শেখার চেষ্টা করছি। গত সপ্তাহে আমি শিখেছি, যারা শনিবার খেলার সুযোগ পায়নি, তারা রোববার অনুশীলনে অনেক পরিশ্রম করে।’