ব্রাজিলের ক্লাব ফুটবলে আগমনেই আলোড়ন তুলেছিলেন এনদ্রিক। পালমেইরাসের হয়ে ভেঙেছেন একের পর এক রেকর্ডও। সেখানেই ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলোর নজরে আসেন এ কিশোর। এর মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদের মতো পরাশক্তি তাঁর সঙ্গে আগাম চুক্তিও সেরে রাখে। তবে রিয়ালে আসার আগেই ব্রাজিলের জার্সিতে অভিষেক হয় এনদ্রিকের। অভিষেকে দলের হয়ে আলোও ছড়ান। ভেঙে ফেলেন একাধিক রেকর্ডও।
ব্রাজিলের হয়ে আলো ছড়ানোর পরই এনদ্রিকের অভিষেক হয় রিয়ালের জার্সিতে। সেখানেও তিনি অল্প সময়ের মধ্যে একাধিক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন। হয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের হয়ে গোল করা সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলারও। সম্প্রতি ১৮ পেরোনো এনদ্রিক পেশাদার ফুটবলে নিজের শততম ম্যাচও খেলে ফেলেছেন। এই এক শ ম্যাচে এনদ্রিকের উল্লেখযোগ্য রেকর্ডগুলো একনজরে দেখে নেওয়া যাক—
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে
—চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের হয়ে গোল করা সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার: ১৮ বছর, ১ মাস ২৭ দিন।
—লা লিগায় রিয়ালের হয়ে গোল করা সর্বকনিষ্ঠ বিদেশি তরুণ: ১৮ বছর ৩৫ দিন।
—লা লিগায় তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ দক্ষিণ আমেরিকান হিসেবে গোল করা ফুটবলার: ১৮ বছর ৩৫ দিন।
—ব্রাজিলের চতুর্থ সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে অভিষেক: ১৭ বছর ৩ মাস এবং ২৬ দিন।
—ব্রাজিলের জার্সিতে পঞ্চম সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে গোল করার রেকর্ড: ১৭ বছর ৮ মাস ২ দিন।
—জাতীয় দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে কোপা আমেরিকায় খেলেছেন এনদ্রিক: ১৭ বছর ১১ মাস ৪ দিন।
—অনূর্ধ্ব–১৮ ফুটবলারদের মধ্যে ব্রাজিলিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সবচেয়ে বেশি ১৪ গোল করার কীর্তি।
—ব্রাজিলিয়ান চ্যাম্পিয়নসশিপে অনূর্ধ্ব–১৮ ফুটবলারদের মধ্যে এক মৌসুমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ গোল।
—পালমেরাইসের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার: ১৬ বছর ১০ মাস ১৬ দিন।
—পালমেরাইসের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা: ১৬ বছর ৩ মাস ৪ দিন।
—কোপা লিবের্তাদোরেসে পালমেইরাসের হয়ে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা: ১৬ বছর ১০ মাস ১৬ দিন।
—কোপা লিবের্তাদোরেসে ইতিহাসে চতুর্থ সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা এনদ্রিক: ১৬ বছর ১০ মাস ১৬ দিন।
—ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার হিসেবে পালমেরাইসের হয়ে সব ক্যাটাগরিতে ন্যূনতম একটি করে চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা (অনূর্ধ্ব–১১, অনূর্ধ্ব-১৩, অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-২০ এবং মূল দল)।