আরেকটি ইতিহাসের সামনে মদরিচ–ক্রুস
আরেকটি ইতিহাসের সামনে মদরিচ–ক্রুস

চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে ইতিহাসের যে চূড়ায় ওঠার অপেক্ষায় মদরিচ–ক্রুসরা

১৯৫৫–৫৬ থেকে ১৯৬৫–৬৬—এই ১০ মৌসুমে ছয়বার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিলেন পাকো হেন্তো। ২০২২ সালে অন্যলোকে পাড়ি জমানো এ কিংবদন্তি তাঁর রেকর্ডটিকে অক্ষতই দেখে গেছেন। তবে হেন্তোর এ রেকর্ডটি ৫৮ বছর পর আজ রাতে ভেঙে যেতে পারে। একজন নয়, তাঁর রেকর্ডে ভাগ বসানোর সুযোগ আছে চারজন ফুটবলারের। তবে পরলোকে বসে একটি দিক থেকে স্বস্তি বোধ করতে পারেন হেন্তো।

রেকর্ডটিতে ভাগ বসানোর জন্য আজ যাঁরা অপেক্ষায় আছেন, তাঁরা প্রত্যেকে তাঁর প্রিয় ক্লাবেরই উত্তরসূরি। প্রায় ছয় দশক আগে হেন্তো রেকর্ডটি গড়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। আর আজ রিয়ালের হয়েই ছয়বার চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার সুযোগ লুকা মদরিচ, টনি ক্রুস, নাচো এবং দানি কারভাহালের সামনে।

তাঁদের মধ্যে মদরিচ এবং কারভাহাল আবার অন্য এক উচ্চতার অপেক্ষায় আছেন। তাঁরা দুজন এরই মধ্যে পাঁচটি করে ফাইনালে খেলে জিতেছেন। অন্যদিকে ক্রুস পাঁচটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা দলের সদস্য হলেও তিনি মূলত খেলেছেন চারটি ফাইনালে।

২০১২–১৩ মৌসুমের ফাইনালে চোটের কারণে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে খেলা হয়নি তাঁর। রিয়াল অধিনায়ক নাচোর নামের পাশেও আছে পাঁচটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। যদিও তিনি ফাইনাল খেলেছেন মাত্র একটি। ২০১৮ সালের ফাইনালে বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন তিনি।

ইতিহাসের সামনে কারভাহালও

আজ রাতে ফাইনাল জিতে হেন্তোর রেকর্ড স্পর্শ করা নিয়ে কথা বলেছেন মদরিচ, ‘এটা কল্পনা করা কঠিন ছিল যে এ মুহূর্তটা আমাদের সামনে আসবে। কিন্তু আমরা এখন মুহূর্তটিতে এসে পৌঁছেছি। খুবই আনন্দিত এবং মুহূর্তটি উপভোগ করছি। আশা করি, আমরা আরেক ধাপ এগিয়ে যেতে পারব এবং ছয়টি ইউরোপিয়ান কাপ জিততে পারাটা বড় কিছুই হবে।’

একই বিষয়ে কথা বলেছেন নাচোও। ছয়টি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা দলে থাকতে পারাটা দারুণ কিছু হবে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘কয়েক বছর আগেও এটা কল্পনা করা কঠিন ছিল। কিন্তু এখন আমরা মাত্র এক ধাপ পেছনে। ছয়টি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা খেলোয়াড়দের ছোট দলটিতে থাকতে পারা রোমাঞ্চকর কিছুই হবে। সেটা আমার জন্য দারুণ ব্যাপার হবে।’