ঘরের মাঠে এগিয়ে যাওয়ার পরও জিততে পারেনি চেলসি
ঘরের মাঠে এগিয়ে যাওয়ার পরও জিততে পারেনি চেলসি

ল্যাম্পার্ডের চেলসির হারের হ্যাটট্রিক

চেলসি ১ : ২ ব্রাইটন

ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড কোচ হিসেবে ফিরে আসার পর এই প্রথম স্টামফোর্ড ব্রিজে ম্যাচ। চেলসি দর্শকদের অনেকে এলেন ‘স্বাগত’ লেখা ব্যানার নিয়ে। কিন্তু ডাগআউটের মাথা বদলালেও মাঠের চেলসি তো পুরোনোই। ব্রাইটনের বিপক্ষে শুরুতে গোল করলেও শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে।

প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে এই প্রথম ব্রাইটনের কাছে ঘরের মাঠে হারল চেলসি। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে চেলসির জয়হীন ম্যাচের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয়ে। দ্বিতীয়বার কোচ হয়ে ফেরা ল্যাম্পার্ডের অধীনে হার টানা তিন ম্যাচেই।

সর্বশেষ চার ম্যাচে গোল না পাওয়া চেলসি ঘরের মাঠে গোল পেয়ে যায় ১৩ মিনিটেই। মিখাইলো মুদরিকের সহায়তায় গোলটি করেন ইংলিশ মিডফিল্ডার কনর গ্যালাঘার। তখন মনে হচ্ছিল, প্রথম লেগে অ্যামেক্স স্টেডিয়ামে ৪-১ ব্যবধানে হারের বদলা এবার নিয়ে নেবে চেলসি। ব্রাইটনের বিপক্ষে স্টামফোর্ড ব্রিজে খেলা আগের সাত ম্যাচের (৫ জয়, ২ ড্র) অপরাজিত ধারাও থাকবে অক্ষুণ্ন।

ব্রাইটনের দুই গোলদাতা ওয়েলবেক ও এনকিসো

কিন্তু ব্রাইটনের হয়ে ম্যাচের গতিপথ বদলে দেন দুই বদলি খেলোয়াড় ড্যানি ওয়েলবেক ও জুলিও এনকিসো। ৪২ মিনিটে সমতা এনে দেন সাবেক আর্সেনাল ফরোয়ার্ড ওয়েলবেক। এই অর্ধে ব্রাইটন গোল পেতে পারত আরও। প্রথম চেলসি গোলমুখে মোট ১২টি শট নেয় ব্রাইটন। ২০০৩-০৪ মৌসুমের পর প্রিমিয়ার লিগে ঘরের মাঠে এত বেশি আক্রমণ আর কখনোই সামাল দিতে হয়নি চেলসিকে।

১-১ সমতায় থাকা ম্যাচ ব্রাইটন নিজেদের করে নেয় ৬৯ মিনিটে। ৩০ গজের বেশি দূর থেকে জোরালো শটে বল জালে জড়ান প্যারাগুইয়ান ফরোয়ার্ড এনকিসো। এ গোলটি আর শেষ পর্যন্ত শোধ করতে পারেনি চেলসি।

বোর্নমাউথের কাছে হেরে গেছৈ হ্যারি কেইন, রিচার্লিসনদের টটেনহাম

৩১ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে চেলসি এখন লিগ তালিকার ১১ নম্বরে। ২৯ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে ৭ নম্বরে ব্রাইটন। দিনের আরেক ম্যাচে ঘরের মাঠে বোর্নমাউথের কাছে ৩-২ ব্যবধানে হেরেছে টটেনহাম। ২-২ সমতায় থাকা ম্যাচে ৯৫তম মিনিটে বোর্নমাউথকে জয়সূচক গোল এনে দেন দিঙ্গো ওতারা।

৩১ ম্যাচে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে টটেনহাম আছে পাঁচ নম্বরে। বোর্নমাউথ ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে ১৪ নম্বরে