চিলিকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে দুবার গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। ৩৬ মিনিটে তাঁর দূরপাল্লার শট চিলির পোস্টে লেগেছে। ৬৭ মিনিটে বক্সের ভেতর সতীর্থের পাস থেকে সুযোগ পেয়েছিলেন। একটু কঠিন সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। তবে মেসি এই ম্যাচে পুরোপুরি ফিট ছিলেন না বলে জানিয়েছে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস। সেটি অবশ্য আন্দাজ করে নেওয়া যায় ম্যাচের ২৪ মিনিটে তাঁর আর্জেন্টিনার চিকিৎসক দলের শরণাপন্ন হওয়ায়।
চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হওয়ার আগে দুবার কড়া ট্যাকলের শিকার হন মেসি। চিলি লেফটব্যাক গ্যাব্রিয়েল সুয়াজোর ট্যাকলটি বেশ কড়াই ছিল। ডান পায়ের ঊরুতে স্বস্তিবোধ না করায় ডাগআউটের বেঞ্চে চিকিৎসকদের প্রতি মাথা ঝুঁকিয়ে ইশারা করেন মেসি। প্রাথমিক চিকিৎসকের দল তৎক্ষণাৎ মাঠে ঢুকে তাঁর চোট পাওয়া স্থানে আইস (বরফ) ও ম্যাসাজ দিয়েছেন। ম্যাচে পুরো সময় মাঠে ছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা। তবু একটু দুশ্চিন্তা তো থেকেই যায়।
ইন্টার মায়ামির হয়ে এ মৌসুমে চোট পেয়েছিলেন, আর্জেন্টিনার হয়ে এই চোটের কারণেই কিছু প্রীতি ম্যাচ খেলতে পারেননি। কোপা আমেরিকার মধ্যে তাই মেসির একটু অস্বস্তিবোধ করাও দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলতে পারে আর্জেন্টিনার টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে সমর্থকদের মধ্যে। টিওয়াইসি স্পোর্টস আপাতত তেমন দুশ্চিন্তার কিছু জানায়নি। শুধু জানিয়েছে, বুধবার (স্থানীয় সময়) তাঁর চোটের পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হবে। মেসি নিজেও আশা করছেন, আঘাতটা যেন বড় কিছু না হয়।
ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে মেসি বলেছেন, ‘একটু তো ভাবনা হচ্ছেই, তবে খেলাটা শেষ করতে পেরেছি। আশা করছি, (আঘাত) বড় কিছু যেন না হয়। জায়গাটা শক্ত হয়ে আসছিল। অস্বস্তির কারণে ঠিকমতো দৌড়াতে পারছিলাম না। দেখা যাক কী হয়।’ মেসি আরও জানিয়েছেন, এই ম্যাচের আগে শারীরিকভাবেও তিনি খুব একটা সুস্থ ছিলেন না, ‘কয়েক দিন ধরেই গলাব্যথা, জ্বরও আছে। আজ এ কারণেই সম্ভবত একটু (ম্যাচে) ভুগেছি।’
আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, মেসির সঙ্গে এখনো সাক্ষাৎ হয়নি। তাই চোটের কী অবস্থা সেটি বলতে পারছেন না, ‘মেসির সঙ্গে এখনো কথা হয়নি, কেমন আছে বলতে পারছি না।’
আগামী রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় পেরুর বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলবে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করা আর্জেন্টিনা। মেসি কি এ ম্যাচে খেলতে পারবেন? উত্তরটি পেতে মেসি নিজেই অপেক্ষায়, ‘দেখা যাক, কতটুকু সেরে উঠি। সামনে আরও ম্যাচ আছে। সেসব নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা শুরু করব।’
চলতি বছর মার্চে কনকাক্যাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে ঊরুর মাংসপেশিতে চোট পেয়েছিলেন মেসি। মায়ামির এই তারকা সে জন্য কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগে খেলতে পারেননি। একই আঘাতের কারণে এল সালভাদর ও কোস্টারিকার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচেও খেলা হয়নি মেসির। তবে ডান পায়ের ঊরুতে মেসির সমস্যা নতুন না। গত বছর নভেম্বর ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিলের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্রর ম্যাচেও একই জায়গায় ব্যথা ও অস্বস্তিবোধ করেছিলেন মেসি।