পিএসজি–মার্শেই ম্যাচের ৬৫ মিনিটের খেলা চলছিল তখন। ম্যাচে ১–০ গোলে এগিয়ে পিএসজি। ঠিক সে সময়ে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে তুলে নেন কোচ লুইস এনরিকে। তাঁর বদলি হিসেবে মাঠে নামানো হয় গনসালো রামোসকে। কোচের এ সিদ্ধান্ত যে মানতে পারেননি, তা এমবাপ্পের অভিব্যক্তিতেই স্পষ্ট ধরা পড়ছিল। হতাশা নিয়েই মাঠ ছেড়ে যান ফরাসি তারকা।
এ নিয়ে লিগে শেষ ৬ ম্যাচের ৫টিতেই পুরো ৯০ মিনিট খেলা হলো না এমবাপ্পের। ‘লা ক্লাসিক’–এ মার্শেইকে ২–০ গোলে হারানোর পর বিষয়টি নিয়ে ফের কথা বলতে হয়েছে পিএসজি কোচ এনরিকেকে। তবে প্রতি সপ্তাহে এ প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে বিরক্ত হয়ে গেছেন বলেও মন্তব্য করেন এ স্প্যানিশ কোচ।
গতকাল রাতে মার্শেইয়ের মাঠে ম্যাচের বেশির ভাগ সময় ১০ জন নিয়ে খেলতে হয়েছে পিএসজিকে। ম্যাচের ৪০ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বেরালদো। তবে একজন কম নিয়ে খেলেও জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি পিএসজিকে। ৫৩ মিনিটে ভিতিনিয়া ও ৮৫ মিনিটে এমবাপ্পের বদলি হিসেবে নামা গনসালো রামোসের গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে পিএসজি। এ জয়ে ২৭ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে এনরিকের দল। দুই নম্বরে থাকা ব্রেস্তের চেয়ে ১২ পয়েন্টে এগিয়ে তারা।
ম্যাচ শেষে অবশ্য দলের জয়ের চেয়ে এমবাপ্পেকে বদলি করা নিয়েই বেশি কথা বলতে হয়েছে এনরিকেকে। প্রতি সপ্তাহে একই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কিছুটা বিরক্তই মনে হলো পিএসজি কোচকে। ম্যাচের পর প্রাইম ভিডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এনরিকে বলেছেন, ‘মানুষ আমার সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নয়? তাতে আমার কিছু আসে–যায় না। প্রতি সপ্তাহে একই কথা। সেই একই গান। এটা বিরক্তিকর।’
পিএসজির ভালোর জন্য যা করতে হবে করবেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি দলের কোচ, আমিই প্রতি সপ্তাহে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। পিএসজির জন্য আমি নিজের সেরাটাই করব। প্যারিসে নিজের শেষ দিন পর্যন্ত আমি সেটা করব।’
ম্যাচের আগে অবশ্য এমবাপ্পেকে ধরে রাখা নিয়ে আশার কথাই শুনিয়েছিলেন এনরিকে। তিনি তখন বলেছিলেন, ‘আমি সব সময় আশাবাদী যে কিলিয়ান (এমবাপ্পে) তার মন বদলাবে। এখন পর্যন্ত সে কিছুই বলেনি। সে তার মন বদলাতেও পারে। ভাবুন, যদি আমরা এ মৌসুমে চারটা ট্রফি জিততে পারি এবং মৌসুম শেষে সে সিদ্ধান্ত নিল যে প্যারিসে থেকে যাবে। এমনটা হতেও তো পারে, দেখা যাক।