গোলটি তোমরা কেন দিলে? তোমরা কি জানতে না, ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে খেলছ?
নিজেদের মাঠে ৭ মিনিটের গোলে ইপসউইচ টাউনের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ার পর ম্যানচেস্টার সিটির খেলা দেখে মনে হচ্ছিল, কেভিন ডি ব্রুইনা-আর্লিং হলান্ডরা যেন এটাই বলতে চেয়েছেন! ১২ থেকে ১৬—এই চার মিনিটে ইপসউইচের জালে তিনবার বল পাঠায় সিটি।
এই তিন গোলের একটি ডি ব্রুইনার, দুটি হলান্ডের। দ্রুত তিন গোল দিয়ে ‘রাগ’টা যেন একটু স্তিমিত হয়ে যায় সিটি খেলোয়াড়দের। এ কারণেই হয়তো চতুর্থ গোলটি সিটি পেয়েছে ম্যাচের ৮৮ মিনিটে। শেষ মুহূর্তে করা সেই গোলে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেছেন হলান্ড, সিটি জিতেছে ৪-১ ব্যবধানে।
সিটির হয়ে গোলের খাতা খোলেন হলান্ড। গোলটি তিনি করেছেন পেনাল্টি থেকে। দুই মিনিট পর স্কোরশিটে নাম লেখান ডি ব্রুইনা। এর দুই মিনিট পর আবার গোল পান হলান্ড। এরপর লম্বা সময় ম্যাচে আধিপত্য করে গেলেও গোল পাচ্ছিল না সিটি।
কখনো ইপসউইচের গোলকিপারের দারুণ দক্ষতা, কখনো আবার হলান্ড-গ্রিলিশদের ব্যর্থতায় গোল আসছিল না। অবশেষে তারা স্কোরলাইন ৪-১ করতে পারে হলান্ডের তৃতীয় গোলে। চেলসির বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগে মৌসুমের প্রথম ম্যাচে ২-০ ব্যবধানের জয়েও একটি গোল করেছিলেন হলান্ড।
আজকের হ্যাটট্রিকে সিটির জার্সিতে নিজের গোলসংখ্যা ৯৪-এ নিয়ে গেলেন হলান্ড। ২০২২-২৩ মৌসুমে তিনি সিটিতে নাম লেখানোর পর এর চেয়ে বেশি গোল ইংল্যান্ডের ফুটবলে আর কারও নেই।