মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) আজ সিএফ মন্ট্রিয়লের কাছে ৩–২ গোলে হেরেছে ইন্টার মায়ামি। এই ম্যাচে খেলেননি ইন্টার মায়ামির আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসি। বার্সেলোনায় তাঁর সাবেক দুই সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ ও সের্হিও বুসকেতসকে বেঞ্চ থেকে মাঠে নামিয়েছেন মায়ামি কোচ জেরার্দো মার্তিনো। মেসির অনুপস্থিতিতে বছরের প্রথম হার দেখতে হয় দলটিকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রশ্ন উঠেছিল, মেসির না খেলার কারণ কী? চোট না বিশ্রাম?
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ‘মায়ামি হেরাল্ড’ আগেই জানিয়েছে, ২০২৪ সালে মায়ামির সামনে ঠাসা সূচি। তাই মৌসুমের কোনো না কোনো পর্যায়ে বিশ্রাম দেওয়া হবে মেসি, বুসকেতস, সুয়ারেজ ও জর্দি আলবাকে। প্রশ্ন ছিল, কখন বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে। মেসির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আজই পরিষ্কার হয়ে গেল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মায়ামির আগের ৫ ম্যাচেই পুরো ৯০ মিনিট মাঠে ছিলেন মেসি। আজকের ম্যাচের আগে গত শনিবার এমএলএসের অফিশিয়াল চোটের তালিকায় মেসির নাম ছিল বলে জানিয়েছে মায়ামি হেরাল্ড। কিন্তু ম্যাচ শেষে মায়ামি কোচ জেরার্দো মার্তিনো জানিয়েছেন, বিশ্রাম দিতেই তাঁকে এ ম্যাচে খেলানো হয়নি।
মার্তিনোর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, মেসির খেলার ব্যাপারে সিদ্ধান্তটা কীভাবে নেওয়া হয়? খেলোয়াড় নিজে বিশ্রাম চান, নাকি কোচ ঠিক করে দেন? মার্তিনোর উত্তর, ‘আমরা এক সপ্তাহ আগেই এটা নিয়ে কথা বলেছি। ন্যাশভিলের সঙ্গে ম্যাচে যা–ই হোক না কেন, এই ম্যাচে (সিএফ মন্ট্রিয়াল) সে বিশ্রাম নিতে পারে—সে ব্যাপারে আমরা আগেই একমত হয়েছি।’ সিএফ মন্ট্রিয়ালের মুখোমুখি হওয়ার আগে গত শুক্রবার কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে ন্যাশভিলের সঙ্গে ২–২ গোলে ড্র করে মায়ামি। এ ম্যাচে গোল করেছিলেন মেসি ও সুয়ারেজ। আজকের ম্যাচে সুয়ারেজ এবং বুসকেতসকে বেঞ্চে বসানো নিয়েও কথা বলেন মার্তিনো, ‘(সংবাদমাধ্যম) ১০ দিন আগেই জানতে চেয়েছিল আমরা (খেলোয়াড়দের) ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে খেলাব কি না? আমরা সেটা করেছি।’
প্রাক্–মৌসুম সফরের সময়ই মার্তিনো জানিয়েছিলেন, খেলোয়াড়দের ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে খেলানোর ব্যাপারে তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এমএলএস, চ্যাম্পিয়নস কাপ, লিগস কাপ ও কোপা আমেরিকা মিলিয়ে ৩৬ বছর বয়সী মেসির সামনে এ বছর ৫০টিরও বেশি ম্যাচ আছে। সমর্থকদের মার্তিনো তখন বলেছিলেন, মেসি এবং অন্য তারকা খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়ে এবং ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে খেলানো হবে।
ফোর্ট লডারহিলের চেজ স্টেডিয়ামে মন্ট্রিয়ালের বিপক্ষে মায়ামির ম্যাচে মেসি পরিবার নিয়ে ভিআইপি বক্সে ছিলেন। সেখান থেকেই এমএলএসের এবারের মৌসুমে নিজ দলের প্রথম হার দেখেছেন এই তারকা। ৪ ম্যাচে ২ জয়, ১টি করে হার ও ড্রয়ে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্স অঞ্চলের পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে মায়ামি, দুই কনফারেন্স মিলিয়েও তা–ই। চার ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৭ পয়েন্ট। পয়েন্ট তালিকায় মায়ামির পরের চারটি দলের সংগ্রহও ৭ পয়েন্ট—কিন্তু গোল ব্যবধানে মায়ামি বাকিদের চেয়ে এগিয়ে।