আর্জেন্টিনার অনুশীলনে লিওনেল মেসি
আর্জেন্টিনার অনুশীলনে লিওনেল মেসি

যে কারণে মেসিকে ‘বন্দী’ করার স্বপ্ন দেখছে কানাডা

শক্তি, সামর্থ্য, ইতিহাস কিংবা পরিসংখ্যান কোনোটাই পক্ষে নেই। এই ম্যাচে তাদের পক্ষে দর্শক-সমর্থনও থাকবে সামান্য। তবু আর্জেন্টিনার বিপক্ষে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে হাল ছাড়তে রাজি নন কানাডার কোচ জেসে মার্শ। লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার বিপক্ষে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে চান মার্কিন এই কোচ। সেমিফাইনালে মেসিকে আটকানোর ছকও নাকি কষে রেখেছেন মার্শ।

এবারই প্রথম কোপা আমেরিকায় খেলতে এসেছে কানাডা আর প্রথমবারেই সেমিফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়েছে তারা। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে তারা মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনার। সেই ম্যাচে ২-০ গোলে হেরেছিল কানাডা। তবে সব দিকে পিছিয়ে থাকার পরও সেমিফাইনালের আগে ভীত নয় কানাডা। এমনকি মেসিকে বন্দী করার হুমকিও দিয়ে রেখেছেন কানাডার কোচ মার্শ। কিন্তু কীভাবে?

অনেকের কাছে মেসি সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়। তাঁর হাত ধরেই ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বের যেকোনো রক্ষণকে একাই গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আছে তাঁর। কানাডার মতো দলের পক্ষে এমন একজন খেলোয়াড়কে থামানোর চিন্তা অনেকের কাছে আকাশকুসুম কল্পনা মনে হতে পারে।

তবে কোপায় মেসির সামগ্রিক পারফরম্যান্সই হয়তো কানাডা কোচের মধ্যে স্বপ্নটা উসকে দিয়েছে। কোপায় ৩ ম্যাচে এখনো কোনো গোল করতে পারেননি মেসি। গোলে সহায়তা মাত্র একটি। এমনকি বয়স ও চোটের সঙ্গে লড়তে থাকা মেসির পারফরম্যান্সও আহামরি ছিল না। আগের ম্যাচগুলোয় মোটেই স্বাচ্ছন্দ্যে দেখা যায়নি তাঁকে।

আর্জেন্টিনার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মেসিকে ঠিকই আটকে রাখতে পেরেছিল কানাডা

আর এ কারণেই হয়তো সেমিতে মেসিকে থামানোর স্বপ্ন দেখছেন মার্শ, ‘আমরা আগের ম্যাচে মেসির বিপক্ষে ভালো করতে পারিনি, আমাদের গোলরক্ষককে চ্যালেঞ্জে ফেলতে সে অনেক চড়াও হয়েছে। আমরা ম্যান মার্ক করে খেলব না, তবে তাকে আটকানোর ব্যাপারে আমরা জোর দেব। কীভাবে তাকে আটকে রাখতে হবে, তা সত্যিই অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’

সেরা ছন্দে না থাকলেও মেসি শেষ পর্যন্ত মেসিই। এক মুহূর্তের মধ্যে ম্যাচের মোড় বদলে দিতে পারেন ৮ বারের ব্যালন ডি’অরজয়ী এ তারকা। তাই মেসিকে আটকাতে হলে পুরো ৯০ মিনিট তাঁকে পাহারা দিয়ে রাখতে হবে। মূলত মেসির জন্য মাঠে জায়গা সংকুচিত করে এনেই কাজটা করতে চান মার্শ। তিনি বলেছেন, ‘তার জন্য খেলাটা কঠিন করে তুলতে জায়গা সংকুচিত করাই হবে আমাদের প্রথম লক্ষ্য। আমরা তাকে আগের ম্যাচের মতো ব্যাকলাইনে স্বাধীনভাবে ছুটতে দেব না।’

মাঠে অবশ্য মেসির খুব বেশি স্বাধীনতা না পেলেও চলে। ন্যূনতম জায়গার ভেতর দিয়েই নিজের কাজটা ঠিকই করে ফেলতে পারেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। সে সঙ্গে স্পটকিকের সুযোগগুলো তো আছেই। আর টুর্নামেন্টজুড়ে ছন্দহীন থাকা মেসিও হয়তো এ ম্যাচে কিছু করে দেখাতে মুখিয়ে থাকবেন, যা মার্শের দলের জন্য মেসিকে সামলানোর কাজটাকে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।