আর্জেন্টিনার জন্য কঠিন পরীক্ষা শুরু হলো বলে! শুক্রবার শেষ আটের লড়াইয়ে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা। সেই কঠিন ম্যাচের দুই দিন আগে রদ্রিগো দি পলকে নিয়ে জেগেছিল চোট–শঙ্কা। শঙ্কা আরও বাড়ে যখন অনুশীলনে সতীর্থদের সঙ্গে ওয়ার্ম-আপ করলেও ফুটবল খেলেননি দি পল।
হ্যামস্ট্রিং চোটে পড়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেতে পারেন, এমন গুঞ্জনও ছিল। যদিও সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে আর্জেন্টিনার এই মিডফিল্ডার জানিয়েছেন, ঠিক আছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে নিজের অনুশীলনের একটি ছবি পোস্ট করে সমর্থকদের আশ্বস্ত করেন এই আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার, ‘সবকিছু ঠিক আছে। নতুন একটি ফাইনালের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছি। চলো আর্জেন্টিনা, একসঙ্গে এগিয়ে যাই।’
দি পলের এ আশ্বাস আর্জেন্টাইন সমর্থকদের স্বস্তি দিলেও আর্জেন্টাইন শিবিরে দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। কারণ, আর্জেন্টিনার মাঝমাঠ গতিশীল রাখার দায়িত্ব অনেকটাই থাকে দি পলের কাঁধেই।
চলতি বিশ্বকাপে আর্জেন্টাইন দলের ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৪.০৮ কিলোমিটার দৌড়েছেন দি পল। যে চারজন ফুটবলার কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টাইন জার্সিতে সবচেয়ে বেশি সময় খেলেছেন, তাঁর একজনও দি পল। ডাচদের বিপক্ষে পুরো ফিট না হলে কি মাঠে ততটা গতিশীল ফুটবল খেলতে পারবেন কি না, সে প্রশ্ন রয়েই যায়।
আতলেতিকো মাদ্রিদের এই মিডফিল্ডার গ্রুপ পর্বের শুরুর দুই ম্যাচেই ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। তবে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষে হারানো ছন্দ কিছুটা ফিরে পান আতলেতিকো মাদ্রিদের এই তারকা। তবে তিনি তাঁর সেরা ম্যাচটা খেলেন শেষ ষোলোতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। নিজের সেরা ছন্দ খুঁজে পাওয়া দি পল যদি নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শুরুর একাদশে না থাকতে পারেন, সে ক্ষেত্রে লিওনেল স্কালোনি কীভাবে মিডফিল্ড সাজাতে পারেন?
দি পল ও লিয়ান্দ্রো পারদেস একই পজিশনে না খেললেও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তাঁর জায়গায় খেলতে পারেন পারদেসই। সে ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে খেলা এনজো ফার্নান্দেজকে নিজের জায়গা ছাড়তে হবে। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে খেলতে পারেন পারদেস।
তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়ে মিডফিল্ডে পূর্ণতা নিয়ে আসবেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। ডাচ পরীক্ষার অবশ্য এত কিছু ভাবতে চাইবে না স্কালোনি। দি পলকে নিয়েই শুরুর একাদশ সাজাতে চাইবেন তিনি।