ইংলিশ লিগে ভিএআর নিয়ে প্রায়ই বিতর্ক দেখা দেয়।
ইংলিশ লিগে ভিএআর নিয়ে প্রায়ই বিতর্ক দেখা দেয়।

বেশির ভাগ ইংলিশ সমর্থক ভিএআর চান না

ফুটবলে ভিএআর (ভিডিও অ্যাসিস্ট রেফারি) ব্যবহার নিয়ে প্রত্যাশাভঙ্গ হয়েছে ইংলিশ সমর্থকদের। চালুর আগে বেশির ভাগ সমর্থক পক্ষে থাকলেও এখন তাঁরা বিপক্ষে।

সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, খেলা দেখতে মাঠে যাওয়া দর্শকদের ৭৯.১ শতাংশই ভিএআর নিয়ে সন্তুষ্ট নন। তাঁরা ভিডিও রেফারিং ব্যবস্থা ‘দুর্বল’ বা ‘খুবই দুর্বল’ মনে করেন। আর ৬৩.৩ শতাংশ সমর্থক ভিএআর ব্যবস্থা চালু রাখারই পক্ষপাতী নন।

যুক্তরাজ্যের ফুটবল সাপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (এফএসএ) এই জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। মার্চ–এপ্রিলজুড়ে মোট ৯ হাজার ৬৪৫ জন সমর্থক অনলাইন জরিপটিতে অংশ নেন।

এর আগে ২০১৭ সালে এ বিষয়ে প্রথম জরিপটি করেছি এফএসএ। মাঠের রেফারির সিদ্ধান্ত আরও নিখুঁত করে তুলতে ভিডিও রেফারিং দরকার কি না, প্রশ্নে ৭৪.৬ শতাংশ সমর্থক এর পক্ষে ভোট দেন। ভিএআরে প্রধানত চারটি বিষয় রিভিউ করা হয়—গোল হয়েছে কি হয়নি, পেনাল্টি হয়েছে কি হয়নি, সরাসরি লাল কার্ড হয় কি না এবং সঠিক ব্যক্তি চিহ্নিতকরণ (ভুল খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেখানো বন্ধের জন্য)।

ভিএআর নিয়ে বিভিন্ন সময় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন খেলোয়াড় ও কোচরা

নতুন জরিপে দেখা যাচ্ছে, ভিএআরের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে লম্বা সময় লাগে বলে মনে করেন ৯২ শতাংশ সমর্থক। বিপরীতে চলমান ভিএআর ব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ সমর্থন আছে মাত্র ২৬.৮ শতাংশের।

যেসব দর্শক মাঠে খেলা দেখতে গেছেন, তাঁদের মধ্যে মাত্র ৫.৫ শতাংশ ভিএআর অভিজ্ঞতাকে ভালো অথবা খুব ভালো রেটিং দিয়েছেন। আর টিভি দর্শকদের মধ্যে ভিএআর দুর্বল বা খুব দুর্বল বলে মত দিয়েছেন ৬৫.৪ শতাংশ দর্শক। আর ৮০ শতাংশ জরিপে অংশগ্রহণকারী বলেছেন, ভিএআর রেফারির সঙ্গে মাঠের রেফারির কী আলোচনা হচ্ছে, সেটা তাঁরা শুনতে চান।

গত মাসের শেষ দিকে প্রকাশিত ইএসপিএনসকারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২–২৩ মৌসুমে ভিএআরে মোট ১১৬টি সিদ্ধান্ত পাল্টেছে। ৩৩টি সিদ্ধান্তে গোল নিশ্চিত হয়েছে আর গোল বাতিল নিশ্চিত হয়েছে ৫৫টি গোলের ক্ষেত্রে।