লিওনেল মেসি নিজেও এর আগে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেননি। এটাও বলেছেন, এখনই ওই পর্যন্ত না ভেবে এগোতে চান ধীরে ধীরে। এবার আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনিও কথা বললেন মেসির আগামী বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা নিয়ে। তাঁর দাবি, মেসি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলতে চান। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানানোর সময় এখনো আসেনি। এখনই তা বলে দেওয়া মানে ব্যাপারটা একটু আগেভাগে হয়ে যায়।
দক্ষিণ আমেরিকার খেলাধুলাভিত্তিক সাবস্ক্রিপশন টিভি চ্যানেল ডিস্পোর্টসকে গতকাল এ কথা বলেন স্কালোনি। আর্জেন্টিনার এই কোচের হাত ধরেই ২০২২ বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। মেসি সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছিলেন কাতারে আয়োজিত সেই বিশ্বকাপে। তার পর থেকেই নিয়মিত প্রশ্ন উঠছে, মেসির ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা নিয়ে। হুয়ান রোমান রিকেলমে, কার্লোস তেভেজের মতো আর্জেন্টিনার সাবেক খেলোয়াড় থেকে বর্তমান তারকা অ্যালেক্সিস-ম্যাক অ্যালিস্টার পর্যন্ত মেসির আগামী বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী।
স্কালোনিও শোনালেন আশার কথা, ‘প্রথম কথা হলো, সে (মেসি) এবং তার সতীর্থরা জানে এখনো যথেষ্ট সময় আছে হাতে। সে এবং বাকিরাও বিশ্বকাপে খেলতে আগ্রহী। ব্যাপারটি কোন দিকে গড়ায়, তা দেখতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আমাদের ভাবনাটা সে জানে এবং আমাদের মধ্যে সেই সবচেয়ে বুদ্ধিমান।’
আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের এই কোচ মেসিকে নিয়ে আরও বলেন, ‘সে যেন সুখী থাকে, সেটাই আমার একমাত্র চাওয়া।’ তবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আগামী বিশ্বকাপে খেলতে ৩৭ বছর বয়সী মেসির ওপর স্কালোনি কোনো চাপ তৈরি করেননি বলেও জানিয়েছেন, ‘সে এবং অন্য কারও ওপরই নয়। সে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কী করবে, সে বিষয়ে আমরা বলার কেউ না।’
গত বছর কোপা আমেরিকা জয়ের পর আনহেল দি মারিয়ার জাতীয় দল থেকে অবসর নেওয়া নিয়েও কথা বলেছেন স্কালোনি, ‘তার কথা অনুযায়ী, ব্যাপারটা শেষ হয়েছে। এর চেয়ে ভালোভাবে আর শেষ হতে পারত না। সে যদি নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে সিনেমা, বই কিংবা গল্পও লিখত, আমার মনে হয় না যেভাবে শেষ করেছে তার চেয়ে ভালোভাবে লিখতে পারত।’
মেসি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা নিয়ে সর্বশেষ কথা বলেছেন গত বছরের অক্টোবরে মার্কা আমেরিকা লেজেন্ড পুরস্কার নেওয়ার অনুষ্ঠানে। বলেছিলেন, ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে এখনই না ভেবে আপাতত নিজের ভালো থাকা এবং ফিটনেস ধরে রাখাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন, ‘দেখা যাক কী হয়। খুব বেশি দূরের বিষয় ভাবাটা আমার অপছন্দ। প্রতিটি দিন উপভোগের চেষ্টা করি। সুখী থাকতে এই পর্যায়ে খেলা চালিয়ে যেতে পারব বলে আশা করি..যেটা করতে পছন্দ করি, সেটা করতে পারলেই আমি সুখী। ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার চেয়ে এটা আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’