হ্যারি কেইনকে টটেনহামের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিতে আরও খরচ করতে রাজি বায়ার্ন মিউনিখ
হ্যারি কেইনকে টটেনহামের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিতে আরও খরচ করতে রাজি বায়ার্ন মিউনিখ

কেইনের জন্য কমপক্ষে ১০ কোটি পাউন্ড চায় টটেনহাম

তাহলে ৬ কোটি পাউন্ডেও হচ্ছে না! অন্য বিষয়াদি মিলিয়ে অঙ্কটা হয়তো আরও কয়েক মিলিয়ন বাড়বে। কিন্তু টটেনহাম হটস্পার্স তাতেও রাজি না। এই দামে তারা হ্যারি কেইনকে ছাড়বে না বায়ার্ন মিউনিখের কাছে। জার্মান ক্লাবটিও ইংল্যান্ড জাতীয় দলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতার পিছু ছাড়ছে না। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস জানিয়েছে, দামটা বাড়াতে প্রস্তুত বায়ার্ন।

গত মৌসুমের শেষ দিকে শোনা গিয়েছিল, কেইনকে কিনতে চায় রিয়াল মাদ্রিদ। করিম বেনজেমা রিয়াল ছাড়ার পর গুঞ্জনটা আরও জোরালো হয়েছিল। কেইনকে কেনার দৌড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকেও রেখেছিল কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম। কিন্তু গত মে মাসের শেষ দিকে কেইনকে কিনতে আগ্রহী ক্লাবের তালিকায় বায়ার্ন মিউনিখের নামও উঠে আসে। কিছুদিন আগে ইউরোপের সংবাদমাধ্যমগুলো জোর দিয়ে জানায়, কেইনের বায়ার্নে যাওয়া অনেকটাই নিশ্চিত।

বায়ার্নের সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য টাইমস জানিয়েছে, কেইনের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে আলাপও সেরে নিয়েছে বুন্দেসলিগার ক্লাবটি। অর্থাৎ কেইনের বায়ার্নে যেতে আপত্তি নেই যদি দামটা দুই পক্ষের জন্যই সন্তোষজনক হয়। আরেকটু খোলাসা করে বললে, এই সপ্তাহের শুরুতে টটেনহাম যেহেতু বায়ার্নের ৬ কোটি পাউন্ডের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে, তাই দামটা বাড়াতে হবে। আর সেই দামে টটেনহাম যদি রাজি হয়, তাহলে কেইনের ঠিকানা পাল্টাতে আপত্তি নেই।

টটেনহামের বয়সভিত্তিক দল থেকে উঠে আসা কেইন গত ৯ মৌসুমেই ক্লাবটির হয়ে সর্বোচ্চ গোল করেছেন। ক্লাবটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতাও ২৯ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। আগামী মৌসুম শেষেই টটেনহামের সঙ্গে তাঁর চুক্তির মেয়াদ ফুরোবে। নতুন চুক্তি না করলে আগামী মৌসুম শেষেই ফ্রি এজেন্ট হিসেবে শৈশবের ক্লাব ছাড়তে পারবেন কেইন। ক্লাবটির হয়ে এখনো কোনো শিরোপা জিততে পারেননি

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অ্যালান শিয়ারারের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ভাঙার সুযোগ থাকলেও কেইন ট্রফি জেতার জন্য ঠিকানা পাল্টাতে চান। বায়ার্নে যোগ দিতে পারলে তাঁর এই খরা ঘুচে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

দ্য টাইমস জানিয়েছে, টটেনহাম তাদের সর্বোচ্চ গোলস্কোরারকে ছাড়তে চায় না। সে জন্যই বায়ার্নের প্রথম প্রস্তাব নাকচ করেছে। দামটা বাড়ালে টটেনহাম হয়তো এই অবস্থান থেকে সরেও আসতে পারে। কেইনের ব্যাপারে দর-কষাকষিটা ১০ কোটি পাউন্ড থেকে শুরু করতে চায় টটেনহাম।

গত মৌসুমে রবার্ট লেভানডফস্কি বায়ার্ন ছাড়ার পর বিপাকে পড়ে বায়ার্ন। সাদিও মানেকে তারা লিভারপুল থেকে নিয়ে এলেও লেভার ও তাঁর খেলার ধরন ছিল ভিন্ন। নিজেদের স্কোরিং শক্তি বাড়াতেই তারা মূলত কেইনকে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেইন ও টুখেল দুজনই নাকি মিউনিখের ক্লাবটির হয়ে জুটি গড়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। সব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত কেইনের ভবিষ্যৎ কোথায় নির্ধারিত হয়, তা জানতে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।