গোলাম রব্বানীর পদত্যাগের পর কোচসংকটে ভুগছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলিও চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। নইলে তিনি কাজ চালিয়ে নিতে পারতেন। ১৩ ও ১৬ জুলাই নেপালের সঙ্গে দুটি ফিফা ম্যাচে প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন মাহবুব রহমান। যিনি দীর্ঘদিন গোলাম রব্বানীর সহকারী ছিলেন। নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশ ১-০ ব্যবধানে হেরেছে সিরিজ।
তবে এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ নারী দলে নতুন কোচ দেখা যাবে। সেই কোচ বাইরের কেউ নন, বাংলাদেশেরই শীর্ষ স্তরে (ছেলেদের) কোচিং করানো সাইফুল বারী টিটু। ছেলেদের দলের বিদেশি কোচ চলে গেলে সাইফুল বারী জাতীয় দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্বে ছিলেন কয়েকবার। তবে লম্বা সময়ের জন্য ছিলেন না। এবার এশিয়াডে সাবিনা খাতুনদের কোচ হিসেবে আজ তাঁর নাম ঘোষণা করেছে বাফুফে। এই প্রথম তিনি মেয়েদের কোনো দলের কোচ হলেন।
বাফুফের নারী কমিটির প্রধান মাহফুজা আক্তার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেছেন, ‘অনেক দিন ধরে আমরা কোচসংকটে ভুগছি। ছোটন ভাই (গোলাম রব্বানী) চলে গেছেন। পলও চলে গেছেন। সামনে আমাদের মেয়েদের দুটি টুর্নামেন্ট আছে। একটি এশিয়ান গেমস, অন্যটি অনূর্ধ্ব-১৭ এএফসি কাপ। এশিয়ান গেমসে জাতীয় দল খেলবে, ওখানে আমরা সাইফুল বারী টিটু ভাইকে নিচ্ছি। মাহবুবুর রহমান থাকবেন প্রায় কাছাকাছি সময়ে হওয়া অনূর্ধ্ব-১৭ এএফসি কাপে।’
মেয়েদের কোচিংয়ে প্রথম এলেও বাংলাদেশে ২০১৩ সালে প্রথম মেয়েদের ‘সি’ লাইসেন্স কোর্স হয়েছিল, যেটি পরিচালনা করেন সাইফুল বারী। সেই কোর্স করেছিলেন, সাবিনা খাতুন, মিরোনা, জয়া চাকমারা।
প্রথমবার মেয়েদের কোচিংয়ে আসা প্রসঙ্গে সাইফুল বারী প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘আমাকে আজ ফেডারেশনে ডেকেছিলেন সালাউদ্দিন ভাই। এশিয়ান গেমসের জন্য দায়িত্ব নিতে বলেছেন। হাতে সময় আছে। তাই সম্মতি দিয়েছি। তা ছাড়া মেয়েদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করি। বর্তমান দলটিতে সাফজয়ী দলের কয়েকজন নেই। তবু আশা করি ওরা ভালো করবে।’
নতুন কোচের জন্য জাপান ও কোরিয়ায় চিঠি পাঠিয়েছে বাফুফে। কিছু কোচের নাম চাওয়া হয়েছে এই দুই দেশের কাছে। নাম পেলে যাচাই–বাছাই করে বিদেশি কোচ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মাহফুজা। এশিয়ান গেমসে নারী দলে সহকারী কোচ থাকবেন সাবেক ফুটবলার মিরোনা।