এবারের মৌসুমটা ম্যানচেস্টার সিটির জন্য প্রায় ‘হলান্ডময়’ বলা যায়। নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার গোলের পর গোল করে যাচ্ছেন, সব আলো কেড়ে নিয়েছেন নিজের ওপর। পেপ গার্দিওলার দলে অবশ্য তারকার অভাব নেই। তাঁরাও খেলছেন দারুণ। তবে হলান্ডের দ্যুতিতে এই মৌসুমে আড়ালে পড়ে গেছেন প্রায় সবাই।
হুলিয়ান আলভারেজ যেমন। আর্জেন্টিনার হয়ে কাতার বিশ্বকাপে মুগ্ধ করেছেন সবাইকে। লাওতারো মার্তিনেজের গোল মিস করার মহড়ার পর আলভারেজের ওপর আস্থা রেখেছিলেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। সেই আস্থার প্রতিদান ভালোই দিয়েছেন আলভারেজ। ৭ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, করিয়েছেন ১টি।
বিশ্বকাপ থেকে ফেরার পর ম্যানচেস্টার সিটির জার্সিতেও তাই ওপর চোখ ছিল। তবে ক্লাবে আলভারেজকে খেলতে হচ্ছে মূলত হলান্ডের বদলি হিসেবে। কয়েকটা ম্যাচে অবশ্য হলান্ডের সঙ্গেই একাদশে ছিলেন। গতকাল ফুলহামের বিপক্ষে ম্যাচেই যেমন হলান্ডের রেকর্ড গড়ার দিনেও নিজেকে আলাদা করে চিনিয়েছেন আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকার। ম্যানচেস্টার সিটির ২–১ গোলে জয়ে দুটি গোলেই অবদান আলভারেজের। শুরুতে হলান্ডের যে পেনাল্টি গোলে এগিয়ে গিয়েছিল সিটি, সেটি আদায় করেছেন আলভারেজই। পরে আলভারেজের দুর্দান্ত এক গোলেই জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি।
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকা মৌসুমের প্রায় পুরোটা সময়ই হলান্ডের ছায়ায় থাকলেও গতকাল নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরেছেন। ম্যাচ শেষে হলান্ড-আলভারেজ দুজনকেই প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা। হলান্ডকে নিয়ে বলেছেন, ‘হলান্ড আজ একটা রেকর্ড ছুঁয়েছে, যেটি উইন্সটন চার্চিলের সময়ের। দারুণ ব্যাপার। অনেক পুরোনো রেকর্ড। হলান্ডকে অভিনন্দন।’
আর আলভারেজকে নিয়ে গার্দিওলার উচ্ছ্বাস, ‘শুধু গোল আর পেনাল্টি আদায় করাটা নয়, চাপের মুখে সে যেভাবে বল নিজের কাছে রেখেছে, মাঠে তার যে খেলা বোঝার ক্ষমতা, এটা অবিশ্বাস্য। সে অসাধারণ এক খেলোয়াড়, শুধু গোল দিয়ে তাকে বিচার করি না আমি। সে জানে অন্য খেলোয়াড়েরা কোথায় আছে, সেভাবেই সবকিছু করে।’
আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের প্রশংসা করতে গিয়ে তাঁর বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সের প্রসঙ্গও টেনেছেন গার্দিওলা, ‘আর্জেন্টিনার মতো একটা দেশের হয়ে বিশ্বকাপের প্রায় সব কটি ম্যাচে খেলা, যেখানে হাজার হাজার প্রতিভাবান ফুটবলার, এর মধ্যেও ওর ওই জায়গায়া যাওয়া, এতেই বোঝা যায়, সে বিশেষ একজন।’