অ্যানফিল্ডের পাশে এক দোকানে ঝুলছিল লাল রঙের টি শার্টটি। ইয়ুর্গেন ক্লপের কয়েকটি ছবি-সংবলিত টি শার্টটির সামনে লেখা ‘থ্যাঙ্কস, বস’।
ক্লপকে কেন ধন্যবাদ জানানো, সেটি না বললেও চলে। লিভারপুলের জার্মান কোচ যে গত শুক্রবার ঘোষণা দিয়েছেন এ মৌসুমটাই শেষ অ্যানফিল্ডে। ওই ঘোষণার পর আজই যে প্রথম মাঠে নেমেছে তাঁর দল লিভারপুল।
লিগ নয়, নরউইচের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল এফএ কাপের। যে ম্যাচে নরউইচের ডাগআউটে কোচ হিসেবে ছিলেন ক্লপের বিয়েতে মিতবরের দায়িত্ব পালন করা ডেভিড ভাগনার। দুজন একসময় খেলতেন জার্মান ক্লাব মাইনৎসে। ম্যাচের ফলে অবশ্য বন্ধুত্বের লেশ মাত্র ছিল না। বিশ্বের প্রাচীনতম ফুটবল টুর্নামেন্টের চতুর্থ রাউন্ডের সেই ম্যাচটিতে যে লিভারপুল ৫-২ গোলে হারিয়েছে নরউইচকে।
এই জয়ের পঞ্চম রাউন্ডে উঠেছে ক্লপের লিভারপুল। পঞ্চম রাউন্ডে লিভারপুল খেলবে ওয়াটফোর্ড কিংবা সাউদাম্পটনের বিপক্ষে। আজ ১-১ গোলে ড্র করায় ওয়াটফোর্ড ও সাউদাম্পটনকে খেলতে হবে ফিরতি আরেকটি ম্যাচ।
লিভারপুল-নরউইচ ম্যাচে স্কোরশিটে নাম লিখিয়েছেন সাতজন। ১৬ মিনিটে কার্টিস জোন্সের গোলে এগিয়ে যাওয়া লিভারপুল। গোলটিতে বড় অবদান আছে আজই প্রথম লিভারপুলের জার্সিতে প্রথম মিনিট খেলা ১৯ বছর বয়সী মিডফিল্ডার জেমস ম্যাকনেলের।
৬ মিনিট পর বেন গিবসন সমতায় ফেরান নরউইচকে। ম্যাচের তৃতীয় গোলটি আসে আরও ৬ মিনিট পর। ২৮ মিনিটে লিভারপুল এগিয়ে যায় দারউইন নুনিয়েজের গোলে। এ গোলটিতে অবদান রেখেছেন আরেক তরুণ ২০ বছর বয়সী কনর ব্র্যাডলি।
প্রথমার্ধটা ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে শেষ করা লিভারপুল ৬৩ মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যায় ৪-১ গোলে। ৫৩ মিনিটে দিয়েগো জোতা ৩-১ করার ১০ মিনিট পর বদলি নামা ভার্জিল ফন ডাইক ব্যবধানটাকে ৪-১ করেন। ৬৯ মিনিটে বোরহা সাইঞ্জের ব্যবধান কমালেও যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে লিভারপুলকে পঞ্চম গোলটি এনে দেন রায়ান গ্রাভেনবার্চ।