দিন শেষে শীর্ষস্থান ধরে রাখতে জয়ের বিকল্প ছিল না আর্সেনালের। আর্সেনাল জয় না পেলে আর রাতের ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটি জিতলে শীর্ষে উঠত পেপ গার্দিওলার দল, সেটিও এক ম্যাচ কম খেলে।
এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ঘরের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে জয় নিয়েই মাঠে ছেড়েছে আর্সেনাল। বুকায়ো সাকা, লিওনার্দো ত্রোসার ও ডেকলান রাইসের গোলে তারা বোর্নমাউথকে হারিয়েছে ৩-০ গোলে। অর্থাৎ, রাতে সিটি জিতলেও এই রাউন্ড শেষে আর্সেনালই শীর্ষে থাকছে।
ম্যাচের প্রথমার্ধে পুরোটাই ছিল আর্সেনালের দাপট। দাপট ছিল এতটাই যে ম্যাচের প্রথম ২৫ মিনিটেই বোর্নমাউথের গোলমুখে ১২টি শট নেন বুকায়ো সাকারা। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলটি আসছিল না। সেটাই শেষ পর্যন্ত আসে ম্যাচের ৪৫ মিনিটে পাওয়া পেনাল্টিতে। কাই হাভার্টজের আদায় করা পেনাল্টিতে ঠান্ডা মাথায় গোল করেন সাকা।
এবারের লিগে এটি সাকার ১৬তম গোল। সব মিলিয়ে ২০তম। আর্সেনালের হয়ে ১৯৮৬-৮৭ মৌসুমে মার্টিন হেইসের (২১ বছর ৩০ দিন) পর সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে এক মৌসুমে ২০ গোল করার কীর্তি গড়েছেন সাকা (২২ বছর ২৪২ দিন)।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা হয় আর্সেনালের সুযোগ নষ্টের মধ্যে দিয়ে। ৪৮ মিনিটে সাকা আর ৫১ মিনিটে হাভার্টজের দুর্বল শট বোর্নমাউথ গোলকিপার মার্ক ট্র্যাভার্সকে পরাস্ত করতে পারেনি। ৫২ মিনিটে সুযোগ পায় বোর্নমাউথের ডমিনিক সোলাঙ্কি। তবে দাভিদ রায়ার সৌজন্যে বেঁচে যায় আর্সেনাল। এরপর বোর্নমাউথের একের পর আক্রমণে এগিয়ে থেকেও চাপে পড়ে আর্সেনাল। তবে ত্রোসারের গোলে আর্সেনাল শিবিরে ফেরে স্বস্তি। ম্যাচের ৭০ মিনিটে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে গোল করেন ত্রোসার। যা চলতি মৌসুমে আর্সেনালের হয়ে ত্রোসারের ১৬তম গোল, লিগে ১১তম।
গোল পেয়েছিল বোর্নমাউথও। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে আঁতোয়ান সেমেনিও গোল করেন। তবে সেই আক্রমণে সোলাঙ্কি আর্সেনাল গোলরক্ষক রায়াকে ফাউল করলে গোলটি বাতিল হয়। এরপর গ্যাব্রিয়েল মাগালাইস গোল করলেও গ্যাব্রিয়েল জেসুস অফসাইড থাকার কারণে সেটি বাতিল হয়। ম্যাচের শেষ গোলটি আর্সেনাল করে ম্যাচের ৯৭ মিনিটে। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা রাইস দলের ব্যবধান বাড়ান।
৩৬ ম্যাচে আর্সেনালের পয়েন্ট এখন ৮৩। ৩৪ ম্যাচে সিটির পয়েন্ট ৭৯।