সেল্তা ভিগো ও বেনফিকার বিরুদ্ধে আগের দুই প্রীতি ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরেছিল আল নাসর। দলের হারে কিছুটা চাপে ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও। আজ পিএসজিকে হারিয়ে সেই চাপ কমানোর সুযোগ এসেছিল রোনালদোর সামনে। ম্যাচে দারুণ সুযোগও পেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে না পারায় শেষ পর্যন্ত হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে রোনালদো ও তাঁর দলকে।
জাপানের ওসাকায় রোনালদো গোল না পেলেও আল নাসরের জন্য সান্ত্বনা পিএসজিকে রুখে দিতে পারা। রোনালদোর পাওয়া সুযোগগুলো বাদ দিলে ম্যাচে দাপুটে খেলেছে পিএসজি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত গোলটি পায়নি তারা। এদিন দর্শকদের চোখ ছিল নেইমারের দিকেও। তবে বেঞ্চে থাকলেও চোট কাটিয়ে আসা নেইমারকে শেষ পর্যন্ত মাঠে নামাননি পিএসজির কোচ লুইস এনরিকে।
ম্যাচের ৬৬ মিনিট পর্যন্ত মাঠে ছিলেন রোনালদো। তবে বিরতিতে যাওয়ার আগে প্রথমার্ধের শেষ দিকে পেয়েছিলেন দারুণ দুটি সুযোগ। প্রথম সুযোগটি এসেছিল ম্যাচের ৩৯ মিনিটে। বাঁ প্রান্তে আবদুলরহমান ঘারিব বল পেয়ে দারুণভাবে ক্রস করেন ডি-বক্সে থাকা রোনালদোর উদ্দেশ্যে। ওয়ান-টাচ ফিনিশিংয়ে দারুণভাবে বলকে পোস্টের দিকে ঠেলে দেন রোনালদো। কিন্তু পিএসজির ইতালিয়ান গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মার দুর্দান্ত এক সেভে সে যাত্রায় গোলবঞ্চিত হন রোনালদো।
৪ মিনিট পর আবার সুযোগ আসে রোনালদোর সামনে। এবার অবশ্য সুযোগটা রোনালদো নিজেই তৈরি করেছিলেন। ডান প্রান্ত থেকে তালিসকার ক্রসে অসাধারণ এক বাইসাইকেল কিক নেন রোনালদো। কিন্তু তাঁর সেই প্রচেষ্টাও অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। যদিও রেফারি বাঁশি বাজিয়ে রোনালদোর অফসাইডে থাকার সিদ্ধান্ত দেন। গোল না পেলেও বল পায়ে রোনালদো দারুণ কিছু মুহূর্তের জন্ম দিয়েছেন। দুই–একবার ড্রিবলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন পুরোনো দিনের রোনালদোর কথা।
পিএসজিও তৈরি করেছিল ভালো কিছু সুযোগ। কয়েকবার কাছাকাছি গিয়ে সৌদি রক্ষণে কাঁপন ধরিয়েছিল প্যারিসের ক্লাবটি। বিশেষ করে ১৮ বছর বয়সী নাহো লেমিনা বেশ আলো ছড়িয়েছেন। তবে ফিনিশিংয়ে দুর্বলতায় পাননি গোলের দেখা। যে কারণে ১৩ শটের ৭টি লক্ষ্যে রেখেও কোনো গোল আদায় করতে পারেনি পিএসজি।