ফাইনালের সহকারী রেফারি ফেরাচ্ছেন আর্জেন্টিনার ’৯০–এর দুঃস্মৃতি

কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচের পর রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন লিওনেল মেসি-এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। মেসি বলেছিলেন, ‘ফিফার উচিত বিষয়গুলো খেয়াল করা। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচে এই ধরনের একজন রেফারিকে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া উচিত নয়।’

এরপর ক্ষোভের মুখে স্প্যানিশ রেফারি অ্যান্তোনিও মাতেও লাহোজকে বাড়িও পাঠিয়ে দেয় ফিফা। এরপরও অবশ্য রেফারি নিয়ে ফাইনালের আগে স্বস্তিতে থাকার সুযোগ নেই মেসিদের। উল্টো ফাইনালে ম্যাচ পরিচালনা করতে যাওয়া রেফারিদের তালিকা দেখার পর আর্জেন্টাইনদের মাঝে ফিরে এসেছে তিক্ত এক স্মৃতি।

রোববারের ফাইনালে মূল রেফারির দায়িত্ব পালন করবেন পোল্যান্ডের সিমন মার্চিনিয়াক। তাঁর সঙ্গে সহকারী হিসেবে থাকবেন স্বদেশি পাভেল সোকোলনিৎসকি ও তমাস লিস্তকিয়েভিচ। মূলত তমাসের নামটাই আর্জেন্টিনাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে ১৯৯০ বিশ্বকাপের ফাইনালে।

জার্মানির বিপক্ষে ফাইনালে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন ভেঙেছিল ডিয়েগো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনার। সেই ম্যাচে সহকারী রেফারি হিসেবে ছিলেন মাইকেল লিস্তাকিয়েভিচ, যিনি মূলত তমাসের বাবা।

ফ্রান্স–ডেনমার্ক ম্যাচে রেফারি ছিলেন সিমন মার্চিনিয়াক

সেদিনের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের দায় অবশ্য তমাসের ছিল না। সেই ম্যাচের জন্য মূলত দায়ী করা হয় মেক্সিকান রেফারি এদগার্দো কোদেসালকে। যিনি সেদিন দুই আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন।

এ ছাড়া ম্যাচের শেষ দিকে জার্মানিকে যে পেনাল্টিটি উপহার দিয়েছিলেন, সেটি নিয়েও আছে মহাবিতর্ক। এই ম্যাচের পর কোদেসাল আর কখনো রেফারির দায়িত্ব পালন করতে পারেননি।

সেই ম্যাচে হারের পর কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ম্যারাডোনাকে। সহকারী রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মাইকেল মাঠে থেকে সাক্ষী হয়েছিলেন পুরো ঘটনাটির।

এবার সাইডালাইনে থাকবেন মাইকেলের ছেলে তমাস। তবে সেদিনের মতো বিতর্কিত কোনো কিছু ফিরে না আসুক, এই প্রার্থনা নিয়েই খেলা দেখতে বসবেন আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা।