২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লিওনেল মেসির গোলেই ইকুয়েডরকে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। তবু মেসির জন্য ম্যাচটা অম্ল–মধুর হয়ে আছে। চোটে পড়ায় ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচটি শেষ না করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল।
এরপর বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ ছিল আর্জেন্টিনার। দলের সঙ্গে বলিভিয়ার রাজধানী লাপাজে গেলেও মেসিকে ম্যাচের স্কোয়াডেই রাখেননি কোচ লিওনেল স্কালোনি। যদিও মেসিকে ছাড়াই বলিভিয়াকে ৩–০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
এ মাসের আন্তর্জাতিক বিরতিতে ওই দুটি ম্যাচই ছিল আর্জেন্টিনার। বিরতি শেষে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়েছেন মেসি। ধারণা করা হচ্ছিল, আটলান্টা ইউনাইটেডের বিপক্ষে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই দেখা যাবে তাঁকে।
তবে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৩টার ম্যাচটিতে খেলবেন না মেসি। টিওয়াইসি স্পোর্টস, ওলে, ইএসপিএন আর্জেন্টিনাসহ আরও কিছু সংবাদমাধ্যম মেসির না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ইন্টার মায়ামির আজকের ম্যাচটা হবে আটলান্টার মাঠ মার্সিডিজ বেঞ্জ অ্যারেনায়। আটলান্টা যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের রাজধানী। মায়ামি থেকে শহরটির দূরত্ব প্রায় ৯৬০ কিলোমিটার। ইএসপিএন বলছে, ম্যাচটি খেলতে দলের সঙ্গে আটলান্টা যাননি মেসি।
এর আগে ইন্টার মায়ামি কোচ জেরার্দো টাটা মার্তিনো জানিয়েছিলেন, মেসি ভালো আছেন। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে তিনি শেষ অনুশীলন সেশন থেকে ম্যাচ শুরুর আগপর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান, ‘ওকে (মেসিকে) নিয়ে আমাদের নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, সামনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আছে।’
সাম্প্রতিক সময়ে প্রচুর ম্যাচ খেলতে হয়েছে মেসিকে। মায়ামি ও আর্জেন্টিনা মিলিয়ে সর্বশেষ ১২ ম্যাচে মাঠে ছিলেন ১০১৩ মিনিট। একাধিকবার টাইব্রেকারে মীমাংসা হওয়া ম্যাচগুলো হিসাবে আনলে সময়টা আরও বেশি। সামনের দিনগুলোতেও রয়েছে ঠাসা সূচি।
এমন পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়ে মেসিকে মাঠে নামালে হিতে বিপরীত হতে পারে। লম্বা সময়ের জন্য তাঁকে হারানোরও শঙ্কা আছে। মেসিকে বিশ্রাম দেওয়া নিয়ে মার্তিনো বলেছেন, ‘এটা এমন কিছু, যা আমরা জানতাম যেকোনো পর্যায়ে ঘটবে। তবে সে আমাদের চাহিদার সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। বিশেষ করে এ ধরনের মৌসুমের জন্য, যখন অনেক ম্যাচ থাকে। এমনিতে প্রতি ম্যাচ খেলা, ৯০ মিনিট করে মাঠে থাকা, এর মধ্যে (সপ্তাহে) দুই–তিন দিন ভ্রমণ করা খুবই কঠিন ব্যাপার।’
সামনের দিনগুলোতে মেসি ও ইন্টার মায়ামির জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। ২১ সেপ্টেম্বর দলটি খেলবে টরন্টো এফসির বিপক্ষে। টরন্টো এই মুহূর্তে ইস্টার্ন কনফারেন্সের তলানিতে আছে। কানাডার ক্লাবটির বিপক্ষে পূর্ণ ফিট মেসিকে পাওয়া এবং সহজ জয়ের প্রত্যাশাই থাকবে মায়ামি সমর্থকদের।
২৫ সেপ্টেম্বর মেসিদের পরের ম্যাচের প্রতিপক্ষ অরল্যান্ডো সিটি। ফ্লোরিডা ডার্বির এ ম্যাচে চাপ থাকলেও মায়ামির বর্তমান ছন্দ বিবেচনা করলে জয় পাওয়া কঠিন হওয়ার কথা নয়। গত মাসে ওরল্যান্ডোকে লিগস কাপের ম্যাচে হারানোর সুখস্মৃতিও আছে মায়ামির। সে ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন মেসি।
এই ম্যাচগুলোর পর আরেকটি বড় উপলক্ষ আসবে মেসির সামনে। ২৭ সেপ্টেম্বর ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালে মেসিদের প্রতিপক্ষ হিউস্টন ডায়নামো। এ ম্যাচেও মেসির দিকেই থাকবে সবার চোখ। তাঁর হাত ধরে ইন্টার মায়ামি পেয়ে যেতে পারে নিজেদের ইতিহাসের দ্বিতীয় শিরোপা। আর মাসের শেষে মেসিরা এমএলএসের ম্যাচে মুখোমুখি হবে নিউইয়র্ক এফসির।