আবার রেকর্ড গড়েছেন ইয়ামাল
আবার রেকর্ড গড়েছেন ইয়ামাল

রেকর্ডের আরেক নাম লামিনে ইয়ামাল

ফুটবলে তাঁর অভিষেকই হয়েছিল রেকর্ড গড়ে। সেই যে রেকর্ড ভাঙা–গড়া শুরু করেছেন, থামার নামই নিচ্ছেন না। লামিনে ইয়ামালের মাঠে নামা মানেই যেন নতুন কোনো রেকর্ড। অথচ বয়স এখনো ১৬ পেরোয়নি তাঁর। সর্বশেষ গত পরশু রাতে জার্মানির বিপক্ষে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে জেতা ম্যাচেও নতুন রেকর্ড গড়েছেন ইয়ামাল।

জার্মানির বিপক্ষে ম্যাচের আগে থেকেই আলোচনায় ছিলেন ইয়ামাল। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তাঁকে নিয়ে কথা বলেছিলেন জার্মান কোচ ইউলিয়ান নাগলসমান। ইয়ামালকে এ সময় ‘দুর্দান্ত প্রতিভা’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। তবে ইয়ামালের অনভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর কথাও বলেন তিনি। সেটা অবশ্য আর পারলেন কই!

জার্মানি–স্পেন থ্রিলারে স্পেনের প্রথম গোলের মঞ্চটা যে ইয়ামালেরই তৈরি করা।
ম্যাচের ৫১ মিনিটে দানি অলমোর করা প্রথম গোলটিতে সহায়তা করেন ইয়ামালই। এই গোলে সহায়তা করেই নতুন একটি রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন ইয়ামাল। ইউরোর এক আসরে চতুর্থ স্প্যানিশ ফুটবলার হিসেবে সর্বোচ্চ তিনটি অ্যাসিস্টের কীর্তি গড়েছেন ইয়ামাল। তাঁর আগে এই কীর্তি গড়েন ২০০৮ সাল সেস ফাব্রেগাস, ২০১২ সালে ডেভিড সিলভা এবং ২০২১ সালে দানি ওলমো।

একই দিন গোলে সহায়তার আরও একটি রেকর্ড গড়েন ইয়ামাল। ১৯৯৬ সালের পর ইউরো কিংবা বিশ্বকাপের এক আসরে তিন বা তার বেশি গোলে সহায়তা করা প্রথম টিনএজারও হয়েছেন ইয়ামাল। ২০০৪ সালের ইউরোতে টিনএজার হিসেবে দুই গোলে সহায়তাকারী রোনালদোকেও ছাড়িয়ে গেছেন ইয়ামাল।

জার্মানির বিপক্ষে প্রথম গোলে সহায়তা করেছেন ইয়ামাল

তবে গোলে সহায়তা করা ছাড়াও জার্মানদের কড়া পাহাড়ার মধ্যে বল পায়ে বেশ কয়েকবার হুমকি তৈরি করেছেন ইয়ামাল, যার একটিই ম্যাচে এগিয়ে দেয় স্পেনকে। এদিন ৬৩ মিনিট মাঠে থেকে ৩২ বার বল স্পর্শ করা ইয়ামাল সুযোগ তৈরি করেছেন ৩টি। এ ছাড়া গোলের জন্য দুটি শট নিয়ে একটি রাখেন লক্ষ্যে। পাশাপাশি চারটি ডুয়েলও জিতেছেন তিনি।

এর আগে ইউরোর প্রথম ম্যাচেও রেকর্ড গড়েছিলেন ইয়ামাল। ইউরোপ মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের এই প্রতিযোগিতায় তিনিই এখন সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়। একই ম্যাচে গোলে সহায়তার আরেকটি নতুন রেকর্ডও গড়েছেন ইয়ামাল। সেদিন দানি কারভাহালকে অ্যাসিস্ট করে ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী গোলে সহায়তাকারী হন ইয়ামালই।