সাম্প্রতিক সময়ে ম্যানচেস্টার সিটি–আর্সেনাল ম্যাচ মানেই পেপ গার্দিওলা ও মিকেল আরতেতার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা। একসময় ম্যানচেস্টার সিটিতে গার্দিওলার সহকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন আরতেতা। আর এখন নিয়মিত ডাগআউটে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামছেন এ দুজন। এবার অবশ্য প্রতিদ্বন্দ্বীতার উত্তাপটা আরও বেশি।
মাত্র ১ পয়েন্টের পার্থক্য নিয়ে শিরোপায় চোখ রেখে মুখোমুখি হবেন একসময়ের গুরু–শিষ্য। ২৮ ম্যাচ শেষে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৬৪। আর সমান ম্যাচে তিনে থাকা সিটির পয়েন্ট ৬৩। আজ ইতিহাদে যে জিতবে শিরোপা লড়াইয়ে সেই দল অনেকটাই এগিয়ে যাবে।
উত্তাপের এ ম্যাচ সামনে রেখেও অবশ্য গার্দিওলার প্রতি নিজের মুগ্ধতা নিয়ে অকপট আরতেতা। ডাগআউটের লড়াইয়ে দুজনের সম্পর্ক বদলে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও, ব্যক্তি গার্দিওলাকে এখনো আগের মতোই দেখেন আরতেতা, ‘এটা বদলছে (কোচ হওয়ার পর গার্দিওলার সঙ্গে সম্পর্ক)। কিন্তু আমার মুগ্ধতা এবং তার জন্য আমি যা অনুভব করি, তা নিশ্চিতভাবে বদলায়নি। আমার মতে, বিশ্বসেরা কোচ হিসেবে তিনি বাকিদের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে। তিনি আমার দেখা ফুটবলে সবচেয়ে ভালো মানুষদের একজন।’
পেশাদারত্ব কাজের ক্ষেত্রে ভূমিকা বদলালেও মানুষ হিসেবে অনুভূতি বদলায় না উল্লেখ করে আরতেতা আরও বলেন, ‘কাজ করতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে যে মজার এবং আনন্দের সময় কাটিয়েছি, তা সব সময় থেকে যাবে। অবশ্যই আমাদের ভূমিকা এ মুহূর্তে বদলেছে এবং এ পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। এটা এমনই। কিন্তু একই বিষয় খেলোয়াড়দের সঙ্গেও হয়। এখানে আমার কিছু সতীর্থ আছে। কোচ হওয়ার পর সম্পর্কের বিষয়টি মানিয়ে নিতে হয়। মানুষ হিসেবে হয়তো আপনি ভিন্ন কিছু বোধ করবেন না, কিন্তু পেশাদারত্বের জায়গা থেকে আপনাকে ভিন্ন আচরণ করতে হবে।’
গার্দিওলার সঙ্গে শিরোপা লড়াইকে কীভাবে দেখছেন, জানতে চাইলে আরতেতা আরও বলেছেন, ‘সম্ভবত আমি অন্য কারও সঙ্গে লড়তে পছন্দ করব, তাহলে আমার মধ্যে সেই অনুভূতিগুলো কাজ করবে না! কিন্তু এটা বাছাই করার সুযোগ নেই। এটা যা তাই। সবাই জিততে চায়। আমরা একে অপরকে খুব ভালোভাবে চিনি। আমরা ম্যাচ জেতার জন্যই প্রস্তুতি নেব।’
সিটিতে গার্দিওলার সহকারী হিসেবে কাজ করার সময় তাঁকে কাছ থেকে দেখেছেন আরতেতা। সেই অভিজ্ঞতা থেকে গার্দিওলাকে নিয়ে আরতেতার মূল্যায়ন এমন, ‘আমি জানি, এই খেলার জন্য তাঁর আবেগ কেমন। তার বুদ্ধিমত্তা, দলকে সামলানো এবং ক্লাবের সঙ্গে বোঝাপড়া দারুণ। আমি জানি, সে কতটা চাহিদাসম্পন্ন এবং কাজের প্রতি তার নিষ্ঠাও অবিশ্বাস্য। এটা এমন কিছু, যা মানুষ দেখে না। পর্দার আড়ালে অনেক কাজ করতে হয়। শীর্ষ লিগে তিনটি ভিন্ন ক্লাবের হয়ে প্রতি মৌসুমে সে এটা করেছে। এটা অসাধারণ গুণ।’