২০১০ সালে প্রথমবার ফাইনালে উঠেই বিশ্বকাপ জিতেছিল স্পেনের পুরুষ ফুটবল দল। ১৩ বছর পর প্রথমবার ফাইনাল খেলেই বিশ্বকাপ জিতল স্পেনের নারী ফুটবল দল। তবে স্পেনের ছেলেদের দল ফাইনালে উঠেছিল ১৩ তম চেষ্টায়, আর তাঁদের মেয়েরা জিতে গেল তৃতীয়বার বিশ্বকাপ খেলতে এসেই। পার্থক্য তো আরও আছে। ২০১০ সালে স্প্যানিশরা বিশ্বকাপ না জিতলেই সবাই অবাক হতেন। আর এবার মেয়েদের বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাব্যদের সংক্ষিপ্ত তালিকাতে ছিল না স্পেনের নাম।
সেই স্পেন আজ সিডনিতে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে মেয়েদের ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় তুলল। ২০১০ সালে স্পেনের পুরুষ দলও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে ১-০ গোলে হারিয়ে।
অধিনায়ক ওলগা কারমোনার ২৯ মিনিটের গোলটা নতুন চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছে স্পেনকে। যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে, জার্মানি ও জাপানের পর পঞ্চম দল হিসেবে বিশ্বকাপ জিতল স্পেন। কারমোনার গোলের আগে প্রাধান্য ছিল ইংল্যান্ডের। ইংলিশ ফরোয়ার্ড লরেন হেম্পকে পঞ্চম মিনিটে স্প্যানিশ গোলরক্ষক কাতা কোলের ও ১৬ মিনিটে ক্রসবারের বাধায় গোল পাননি।
এর ১৩ মিনিট পর কারমোনার ওই গোল। পাল্টা এক আক্রমণ থেকে ডান প্রান্ত দিয়ে বাঁ দিতে আগুয়ান লেফট ব্যাক কারমোনাকে ক্রস দেন ফরোয়ার্ড মারিওনা কালদেন্তি। কিছুটা এগিয়ে ইংল্যান্ডের পেনাল্টি বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের নিচু শটে ইংলিশ গোলরক্ষকে বাঁ পাশ দিয়ে বলটাকে জালে পাঠান সেমিফাইনালেও গোল পাওয়া কারমোনা।
এরপর একবার পেনাল্টি পেয়েও ব্যবধানটাকে দ্বিগুণ করতে পারেনি স্পেন। হেনি হেরমোসোর দুর্বল শট ধরে ফেলেন ইংলিশ গোলরক্ষক মেরি ইয়ার্পস।
কিন্তু ম্যাচ শেষে এবারের বিশ্বকাপে হেরমোসোর দ্বিতীয় পেনাল্টি মিস কে মনে রাখতে গেছে। গ্রুপ পর্বে যে জাপানের আছে ৪-০ গোলে হেরেছিল স্প্যানিশরা সেটিই বা কে মনে করবে ভবিষ্যতে।
এক বছর আগে খেলোয়াড় বিদ্রোহে মূল দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়কে হারিয়ে ফেলা দলটি রূপকথাই লিখল শেষ পর্যন্ত।