ফ্রান্সের নতুন অধিনায়ক কিলিয়ান এমবাপ্পে
ফ্রান্সের নতুন অধিনায়ক কিলিয়ান এমবাপ্পে

এবার সাংবাদিকের সঙ্গে তর্কে জড়ালেন এমবাপ্পে

কিলিয়ান এমবাপ্পে ফ্রান্স জাতীয় দলের অধিনায়ক হওয়ার পর থেকেই তৈরি হয়েছে নানা বিতর্ক। এমবাপ্পেকে অধিনায়কত্ব দেওয়ার পর গুঞ্জন শোনা যায় আঁতোয়ান গ্রিজমানের অবসরের। এর ভেতর নতুন অধিনায়ক এমবাপ্পে আবার এক সাংবাদিকের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েও এসেছেন আলোচনায়। অধিনায়ক হলে নিজের আচরণে কোনো পরিবর্তন আসবে কি না, তা নিয়েই মূলত তর্কে জড়ান বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।

উগো লরিসের অবসরের পর মূলত নতুন অধিনায়কের সন্ধানে ছিল ফ্রান্স। শুরুতে গ্রিজমানের অধিনায়ক হওয়ার কথা থাকলেও, পরে নেতৃত্বের বাহুবন্ধনী তুলে দেওয়া হয় এমবাপ্পেকে। এ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। বিষয়টি গ্রিজমানের সঙ্গে কথাও বলেছেন এমবাপ্পে। সেই বিতর্ক শেষ হওয়ার আগে নতুন করে আলোচনায় এমবাপ্পে। এবার এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথার লড়াইয়ে জড়াতে দেখা যায় তাঁকে।

ফ্রান্স দলের সাধারণ খেলোয়াড় থাকাকালে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে দেখা যেত এমবাপ্পেকে। সেগুলো এখনো করবেন কি না, জিজ্ঞেস করে সেই সাংবাদিক বলেন, ‘বর্ণবাদ, ইমেজ–স্বত্ব, বিশেষ করে জিদানকে নিয়ে নোয়েল লা গ্রায়েতের করা মন্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনাকে নিজের অবস্থান জানাতে দেখা গেছে, যার প্রভাবও ছিল বিশাল। এখন তো আপনি ফ্রান্স দলের অধিনায়ক, আমি আপনার কাছে জানতে চাই, এখনো কি আপনার একইভাবে বলার স্বাধীনতা থাকবে?’

ফ্রান্সের অনুশীলনে এমবাপ্পে

জবাবে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে এমবাপ্পে জানতে চান, ‘আমি কি আপনাকে একটা প্রশ্ন করতে পারি—কেন আপনি এটা বদলাতে চান?’ সাংবাদিক উত্তরে বলেন, ‘অধিনায়কের দায়িত্বের কারণে। ফ্রান্স দলে অধিনায়কের দায়িত্ব এখন কূটনীতিকের মতো।’ এমবাপ্পের পাল্টা প্রশ্ন, ‘এটা কে বলেছে?’ সাংবাদিক বলেন, ‘ফ্রান্স দলের বিদ্যমান সংস্কৃতি। উগো লরিসও অধিনায়ক হিসেবে বেশ প্রথাগত ছিলেন।’

তিনি লরিসের মতো নন উল্লেখ করে এমবপ্পে বলেন, ‘প্রত্যেকেই নিজের ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী অধিনায়কত্ব করেন। আমি উগোর মতো নই। আমি আগের অধিনায়কদের মতোও নই। প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা অধিনায়ক। আর তাই আমিও ভিন্ন ধরনের অধিনায়ক হব।’

এরপর সাংবাদিক বলেন, ‘তার মানে, আপনি নিজের স্বাধীনচেতা মনোভাব ধরে রাখবেন!’ এমবাপ্পে এবার বলেন, ‘আমার মনে হয় না কোচ এটা ভেবে আমাকে অধিনায়ক করেছেন যে আমিও উগোর মতোই হব। কিংবা হয়তো আমি ভুল।’