বিশ্বকাপ শুরুর আগেই বড় বোমাটি ফাটিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেছিলেন, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ এরিক টেন হাগের প্রতি তাঁর কোনো শ্রদ্ধা নেই। টেন হাগও তাঁকে সম্মান করেন না। একই সাক্ষাৎকারে ক্লাবের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগও আনেন পর্তুগিজ তারকা।
সেই সাক্ষাৎকারের জেরে কদিন আগে মৌসুমের মাঝপথেই চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেয় দুই পক্ষ। রোনালদো ও ইউনাইটেড দুই পক্ষই জানায়, পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে তারা চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপর থেকে ফ্রি এজেন্ট হিসেবেই আছেন পর্তুগাল অধিনায়ক।
আনুষ্ঠানিকভাবে ইউনাইটেড ছাড়ার পর রোনালদোর সম্ভাব্য গন্তব্য কী হতে পারে, তা নিয়েছে নানা জল্পনা। তবে এর মধ্যে গতকাল মার্কাসহ একাধিক ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, সদ্য সাবেক ইউনাইটেড তারকার পরবর্তী গন্তব্য সৌদি আরবের আল–নাসের ক্লাব।
সৌদি ক্লাবে খেলার জন্য রোনালদোকে নাকি বছরে ২০০ মিলিয়ন ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। যদি সেটি সত্যি হয়, তবে রোনালদো হবেন সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলার। তবে রোনালদোর সৌদি যাত্রার খবর ভালোভাবে নিতে পারেননি ভক্তদের অনেকে। চ্যাম্পিয়ন লিগ ও ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের জমজমাট প্রতিযোগিতায় রোনালদো অনুপস্থিতি মানতে পারছেন না অনেকেই। তবে ইএসপিএন সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, আল নাসেরের চুক্তিতে এখনো রাজি হননি রোনালদো।
এর মধ্যে রোনালদোকে দিয়ে কৌতুক করেছে ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসিও। রোনালদোর আল–নাসেরে যাওয়ার খবরটি শেয়ার করে তারা ক্যাপশন দিয়েছে, ‘আবুবকরের একটি ভালো বিকল্প’। গ্রুপ পর্বে ব্রাজিলের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল করে আলোচনায় এসেছিলেন ক্যামেরুন তারকা ভিনসেন্ট আবুবকর। কেএফসির পোস্টটিও মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়েছে। পোস্টটির মন্তব্যের ঘরেও পক্ষে–বিপক্ষে অনেকে কথা বলেছেন।
এর আগে দলবদলের সময় থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন রোনালদো। দলবদলের পুরো সময়টায় শিরোনামে ছিলেন পর্তুগিজ তারকা। সমীকরণ না মেলায় থেকে যেতে হয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। তবে মৌসুম শুরু পর থেকে ইউনাইটেড কোচ টেন হাগের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়নি তাঁর।
বেশির ভাগ ম্যাচে বেঞ্চ গরম করার বিষয়টিও মানতে পারছিলেন না। একপর্যায়ে ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে মাঠ ছেড়েও পড়েছিলেন সমালোচনার মুখে। তবে ইউনাইটেডের সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা পেছনে ফেলে রোনালদো এখন সামনে এগিয়ে যেতে চান।