হঠাৎ করেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আরিফ হোসেন মুন। গতকাল সোমবার তিনি বাফুফে সভাপতি বরাবর পদত্যাগ পাঠিয়েছেন। পদত্যাগপত্রে জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক লিখেছেন ব্যক্তিগত কারণেই দায়িত্ব পালন করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সব স্থায়ী কমিটি থেকে সরে যাচ্ছেন।
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়ে গত রাতে তিনি নিজের ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, সর্বশেষ ২০২০ সালে বাফুফের কমিটিতে নির্বাচিত হয়ে কাজ করতে পারেননি। সেই হতাশা থেকেই এই সিদ্ধান্ত।
মুন গতকাল লিখেছেন, ‘আজ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটি হতে পদত্যাগ করলাম। ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে সম্মানিত কাউন্সিলরবৃন্দ পরপর তিনবার তাঁদের মূল্যবান ভোট দিয়ে আমার প্রতি যে আস্থা, বিশ্বাস এবং ভালোবাসা দেখিয়েছেন, সেই ঋণ আমি কখনো শোধ করতে পারব না। ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে প্রচুর টাকা খরচ করতে হয়, সেটি কারও অজানা নয়। কিন্তু আমি গর্বিত এই কারণে যে কোনো নির্বাচনে মনোনয়নপত্রটিও আমার নিজের টাকায় কিনতে হয়নি। ফুটবলের উন্নয়নের স্বার্থে সম্মানিত কাউন্সিলরবৃন্দ আমার প্রতি যে আস্থা এবং বিশ্বাস দেখিয়েছিলেন, সেটি আমি পূরণ করতে পারিনি। এবং এই কারণেই আমার সরে যাওয়া। তবে যত দিন সুযোগ থাকবে, আমার প্রিয় নীলফামারী জেলার ফুটবল উন্নয়নে কাজ করে যাব।’
প্রতিক্রিয়া জানতে বারবার যোগাযোগ করলেও টেলিফোনে পাওয়া যায়নি মুনকে। ফোনে পাওয়া যায়নি বাফুফে সাধারণ সম্পাদত আবু নাঈমকেও। বাফুফের আরেক সদস্য সাবেক ফুটবলার ইলিয়াস হোসেন বলেন, মুনের পদত্যাগের ব্যাপারে তাঁর জানা নেই। তবে জানা গেছে, বাফুফের নেতৃত্ব তাঁকে সেভাবে না লাগানোর ক্ষোভ থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুন।
রক্ষণভাগের খেলোয়াড় আরিফ হোসেন মুন ১৯৯৩ ঢাকা সাফ গেমসে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন। অধিনায়কত্ব করেছেন ব্রাদার্স ইউনিয়নেরও। ব্রাদার্স ইউনিয়ন ছাড়াও নব্বইয়ের দশকে খেলেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রে।