নেইমারের অমঙ্গল কামনায় পেরুর এক ওঝা
নেইমারের অমঙ্গল কামনায় পেরুর এক ওঝা

তুকতাক করে নেইমারের ‘পা বেঁধে ফেলেছে’ পেরুর ওঝারা

কাতার বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত এক গোল করে পেলেকে ছুঁয়েছিলেন (ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৭ গোল) নেইমার। তাঁর গোলেই ব্রাজিল ছিল সেমিফাইনালের পথে।

কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তে গোল খাওয়ার পর টাইব্রেকারে হেরে যায় ব্রাজিল। সেদিন বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর নেইমারের কান্নার ছবি এখনো ফুটবলপ্রেমীদের চোখে ভাসে। হতাশায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়া নেইমার আর কখনো ব্রাজিলের হয়ে খেলবেন কি না, সে প্রশ্নও ওঠে।

তবে ঘুরে দাঁড়ানোর মন্ত্র নিয়ে আবার ব্রাজিল দলে ফিরেছেন নেইমার। তাঁর প্রত্যাবর্তনটা হয়েছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ দিয়েই। গত শনিবার ঘরের মাঠে বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে ব্রাজিল ৫–১ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে বলিভিয়াকে। সেদিন জোড়া গোল করার পথে পেলেকে ছাড়িয়ে গেছেন নেইমার। এবার তাঁর সামনে বাধা পেরু।

নেইমারের পুত্তলিকার পা বেঁধে ফেলেছে পেরুর ওঝারা

বাংলাদেশ সময় আগামীকাল সকালে লিমার ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে পেরুর মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। পরিসংখ্যান বলছে, পেরুর বিপক্ষে সর্বশেষ ৮ ম্যাচের ৭টিতেই জিতেছে ব্রাজিল। যে একটিতে হেরেছে, সেটা ছিল প্রীতি ম্যাচ। ব্রাজিলিয়ানদের বিপক্ষে পেরুভিয়ানদের রেকর্ড এমনিতেই ভালো নয়; তার ওপর নেইমার আছেন দুর্দান্ত ছন্দে। শক্তি–সামর্থ্যের বিচারে আগামীকালের ম্যাচেও ব্রাজিলই স্পষ্ট ফেবারিট।

এই যখন অবস্থা, তখন ব্রাজিল দল ও নেইমারের অমঙ্গল কামনায় এগিয়ে এসেছে পেরুর ওঝারা। দেশটির জঙ্গল, পর্বত ও উপকূলবর্তী এলাকায় ছড়িয়ে থাকা ওঝাদের স্থানীয়রা ‘তায়তা ইনতি’ নামে ডাকেন। সেই তায়তা ইনতির সদস্যরা ম্যাচের ভেন্যু ন্যাশনাল স্টেডিয়ামের বাইরে জড়ো হয়েছে। তাঁরা নেইমারের একটি পুত্তলিকার পা বেঁধে ফেলেছে। এ ছাড়া একটি বেদিতে তলোয়ার, তাবিজ, পতাকা এবং নেইমার–কাসেমিরো–রিচার্লিসনদের ছবি রেখে তাতে তুকতাক করেছে।  

নেইমারের জার্সি নিয়ে তুকতাক করছেন পেরুর ওঝারা

এ ব্যাপারে ওঝা ফেলিক্স রোনদান সাংবাদিকদের বলেছে, ‘আমরা নেইমারের পা বেঁধে ওকে অসাড় বানিয়ে ফেলেছি। ও যাতে (পেরুর বিপক্ষে) ভালো খেলতে না পারে, দৌড়াতে না পারে; সে জন্যই এটা করেছি। আর ওঝা ওয়ালতার আলারকোন বলেছে, ‘তন্ত্রের মাধ্যমে নেইমারের মনকে মেঘাচ্ছন্ন করাই আমাদের উদ্দেশ্য, যাতে সে যা চায়, সেটা করতে না পারে। ওর লক্ষ্য হলো গোল করা।’

কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের আগেও এমন তন্ত্রমন্ত্রের কথা শোনা গিয়েছিল। আর্জেন্টিনার ডাইনিরারা দাবি করেছিল, কিলিয়ান এমবাপ্পেসহ ফ্রান্সের সব খেলোয়াড় কালো জাদুতে আচ্ছাদিত হয়ে আছেন।