আসন্ন মৌসুমের জন্য পিএসজির স্কোয়াডটা ৩১ সদস্যের। এই ৩১ জনের মধ্য থেকে প্যারিসের দলটি ১১ জনের একটি তালিকা করেছে, যে ১১ জন পিএসজিতে এখন ব্রাত্য। একটা সময়ে এঁদের চড়া দামেই কিনেছে পিএসজি। কিন্তু এখন আর তাঁদের রাখতে চায় না তারা। দলের জন্য ‘বোঝা’ হয়ে যাওয়া এই খেলোয়াড়দের সঙ্গে আচরণটাও নাকি ভালো করছে না পিএসজি!
এ মাসের শুরুর দিকে ফরাসি পত্রিকা লা পারিসিয়েন একটি প্রতিবেদনে লিখেছিল, এখন আর রাখতে চায় না, এমন খেলোয়াড়দের একটি তালিকা তৈরি করেছে পিএসজি। গ্রীষ্মকালীন দলবদলের বাজারে তাঁদের বিক্রি করার চেষ্টা করবে ক্লাবটি।
জর্জো ভাইনালডাম, আন্দের এরেরা, ইদ্রিসা গায়ে, লেভিন কুরজাওয়া, আবদু দিয়ালো, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, দানিলো পেরেইরা, জুনিয়র দিনা এবিম্বে, ইউলিয়ান ড্রাক্সলার ও মাউরো ইকার্দির সঙ্গে এ তালিকায় সর্বশেষ যোগ হয়েছে থিলো খেরের নাম।
ভাইনালডাম ও এরেরাকে কিনতে কোনো ট্রান্সফার ফি লাগেনি পিএসজির। দুজনকে তারা দলে টেনেছিল মুক্ত খেলোয়াড় হিসেবে। তবে ভাইনালডামকে সপ্তাহে ১ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড করে বেতন দিতে হচ্ছে। এরেরার সাপ্তাহিক বেতন ১ লাখ ৩৫ হাজার পাউন্ড। এবিম্বেকে সিনিয়র দলে জায়গা দেওয়া হয়েছিল একাডেমি থেকে।
এই তিন খেলোয়াড়ের বাইরে বাকি যে আটজন আছেন, তাঁদের কিনতে সব মিলিয়ে পিএসজিকে খরচ করতে হয়েছিল ২৩ কোটি ৮৩ লাখ পাউন্ড। সবচেয়ে বেশি খরচ তারা করেছিল আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার ইকার্দির জন্য, ৫ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড।
এত দাম দিয়ে কেনার পর এই সব খেলোয়াড় কাজে না আসায় একটু যেন বিরক্তই পিএসজির কর্মকর্তারা। ‘অপ্রয়োজনীয়’ খেলোয়াড়দের সঙ্গে রূঢ় আচরণই নাকি করছে ক্লাব! ২৫ বছর বয়সী খেরকে যুব দলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরই খেলোয়াড়দের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করার বিষয়টি সামনে এসেছে।
ফ্রান্সের সাংবাদিক সাবের ডেসফারগেস বলেছেন, যে খেলোয়াড়দের তারা ছেড়ে দিতে চাইছে, তাঁদের সঙ্গে খুব রূঢ় আচরণ করছে লিগ ওয়ানের চ্যাম্পিয়ন দলটি।