বার্সার সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা
বার্সার সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা

সিটি–রিয়ালের চেয়েও বেশি বেতন দেয় বার্সেলোনা

লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ, ২০২২–২৩ মৌসুমে বার্সেলোনার অর্জন এ দুটি ট্রফি। তবে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ও এ মৌসুমেই। উয়েফার হিসাব বলছে, সাফল্য–ব্যর্থতায় মেশানো মৌসুমটিতে ইউরোপের বাকি সব ক্লাবের তুলনায় সবচেয়ে বেশি বেতন দিয়েছে বার্সেলোনা।

স্প্যানিশ ফুটবলে বার্সেলোনার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ এ ক্ষেত্রে অনেকটাই পেছনে। ২০২৩ অর্থবছরে ইউরোপের যে ক্লাবগুলো বেতন বাবদ সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে, তার মধ্যে বার্সেলোনার পরেই আছে মধ্যপ্রাচ্যের বিনিয়োগে খেলা পিএসজি ও ম্যানচেস্টার সিটি। রিয়াল মাদ্রিদ আছে চারে।

ফিলিপে কুতিনিও, উসমান দেম্বেলে, আঁতোয়ান গ্রিজমানসহ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে বিপুল অঙ্কে কেনার কারণে পাঁচ–ছয় বছর ধরে আয়–ব্যয়ে সমন্বয় আনতে হিমশিম খাচ্ছে বার্সেলোনা। যে কারণে ২০২১ সালে লিওনেল মেসিকেও ক্লাব ছাড়তে হয়েছিল। বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ খেলোয়াড়দের বেতন বাবদ ব্যয় কমানোর চেষ্টা চালিয়ে গেলেও খরচের পরিমাণ এখনো বেশি।

সদ্য প্রকাশিত উয়েফার ‘ইউরোপিয়ান ক্লাব ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ল্যান্ডস্কেপ রিপোর্ট’–এ সে তথ্যই উঠে এসেছে।

উয়েফার প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩ অর্থবছরে বার্সেলোনার বেতন ছিল ৬৩ কোটি ৯০ লাখ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার ৫২৭ কোটি টাকার বেশি)। ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬১ কোটি ৭০ লাখ ইউরো খরচ করেছে ফ্রেঞ্চ লিগ আঁ–র চ্যাম্পিয়ন পিএসজি। আর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা ম্যানচেস্টার সিটির বেতন বাবদ খরচের পরিমাণ ৫৫ কোটি ৪০ লাখ ইউরো।

পিএসজিতে কাতারের এবং সিটিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ আছে।
বেশি বেতন দেওয়া শীর্ষ তিন ক্লাবের সঙ্গে পরের দিকে থাকা দলগুলোর ব্যবধান উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি। যেমন স্প্যানিশ পরাশক্তি রিয়াল মাদ্রিদের বেতনে খরচ হয়েছে ৪৫ কোটি ৩০ লাখ ইউরো, যা বার্সেলোনার তুলনায় ১৮ কোটির কম। তালিকার পাঁচে থাকা লিভারপুলের বেতনে ব্যয় ছিল ৪২ কোটি ৯০ লাখ ইউরো। জার্মানির ক্লাবগুলোর মধ্যে অনুমিতভাবেই সবচেয়ে বেশি বেতন দিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ—৪১ কোটি ৬০ লাখ। আর ইতালিতে সর্বোচ্চ ২৮ কোটি ৩০ লাখ ইউরো বেতন দিয়েছে জুভেন্টাস।

ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

মজার বিষয় হচ্ছে, সবচেয়ে দামি (১৪২ কোটি ইউরো) স্কোয়াডের দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বেতনে খরচ ৪০ কোটির নিচে—৩৮ কোটি ১০ লাখ ইউরো। বেশি বেতন দেওয়া শীর্ষ ২০টি ক্লাবের মধ্যে লেস্টার সিটি। ২০১৬ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়নরা ২০২৩ অর্থবছরে সাড়ে ২১ কোটি ইউরো বেতন দিয়েও অবনমিত হয়ে চ্যাম্পিয়নশিপে নেমে গেছে।