থিম্পুর বুদ্ধ পয়েন্ট বাচোতে বাংলাদেশ ফুটবল দলের খেলোয়াড়েরা
থিম্পুর বুদ্ধ পয়েন্ট বাচোতে বাংলাদেশ ফুটবল দলের খেলোয়াড়েরা

থিম্পুতে বাংলাদেশের ফুটবলারদের অন্য রকম অভিজ্ঞতা

বিদেশে খেলতে গেলে মাঠ আর হোটেলেই মূলত সীমাবদ্ধ থাকে বাংলাদেশের ফুটবলারদের ‘জীবন’। তবে এবার ভুটান সফরে গিয়ে হলো ব্যতিক্রমী এক অভিজ্ঞতা। সেই অভিজ্ঞতার নাম হাইকিং।

পর্যটকেরা ভুটান ভ্রমণে হাইকিং রাখেন। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল অবশ্য পর্যটক হিসেবে ভুটান যায়নি। গিয়েছে ভুটান জাতীয় দলের সঙ্গে ৫ ও ৮ সেপ্টেম্বর থিম্পুর চাংলিমিথান স্টেডিয়ামে দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলতে। গতকাল বাংলাদেশ দল থিম্পু পৌঁছে আজ সকালে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা দলবদল নিয়ে নেমে পড়েন হাইকিংয়ে। সকাল সোয়া ১০টা থেকে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা থিম্পু শহরের বুদ্ধ পয়েন্ট বাচো পর্যন্ত হাইকিং করেন ফুটবলাররা।

এটিকে জীবনের সবচেয়ে বড় অভিজ্ঞতা বলছেন বাংলাদেশ দলের ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ। থিম্পু থেকে বাফুফের পাঠানো ভিডিও বার্তায় হাইকিং নিয়ে বিশ্বনাথ বলেছেন, ‘অতীতে এটা কখনো করিনি। আজ করেছি। আমরা সবাই অনেক মজা করেছি, উপভোগ করেছি। সামগ্রিকভাবে সবকিছু ভালোই ছিল। শুরুর দিকে একটু কষ্ট হয়েছে। যখন ওপরে উঠে গেছি, তখন আর কষ্ট মনে হয়নি।’

থিম্পুতে হাইকিংয়ে বাংলাদেশের ফুটবলাররা

ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেনেরও খুব ভালো লেগেছে নতুন এই অভিজ্ঞতা, ‘একসঙ্গে পুরো দল হাইকিং করেছি। এখানকার আবহাওয়া একটু আলাদা আমাদের চেয়ে। কখনো একটু গরম আবার হালকা ঠান্ডাও আছে। হাইকিংয়ে শুরুতে একটু কষ্ট হয়েছে, তবে আমরা সবাই মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। সামনে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আছে। আবহাওয়ার সঙ্গে যত মানিয়ে নিতে পারব তত ভালো হবে।’

হাইকিংয়ের ফাঁকে বাংলাদেশের ফুটবলাররা

কোচ হাভিয়ের কাবরেরাও ফুটবলারদের নিয়ে ব্যতিক্রমী একটা সময় কাটাতে পেরে তৃপ্ত। ‘আজ সকালে আমরা হাইকিং করেছি। খেলোয়াড়েরা যেটা উপভোগ করেছে। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই এটা করেছি। একটা ট্রেনিং সেশনের চেয়েও এটি আসলে বেশি কিছু।’ বলেছেন বাংলাদেশ কোচ।