আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ বাংলাদেশে আসবেন—এ খবর আগেই জানা গিয়েছিল। বাংলাদেশে আসার বিষয়টি আজ মার্তিনেজ নিজেই ফেসবুকে পোস্ট করে জানিয়েছেন। আগামী ৩ থেকে ৫ জুলাই তিনি কলকাতায় থাকবেন। এর মধ্যে ঢাকায় আসবেন।
ফেসবুকে মার্তিনেজ লিখেছেন, ‘সবাইকে শুভেচ্ছা। আমি আগামী ৩ থেকে ৫ জুলাই ভারতীয় উপমহাদেশে আমার প্রথম সফর করব। সেখানে আমি বিভিন্ন চ্যারিটি কার্যক্রমে অংশ নেব। একই সঙ্গে মোহনবাগান ক্লাবের একটি চ্যারিটি ম্যাচে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেব। এর পাশাপাশি ভক্তদের সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম, পৃষ্ঠপোষকদের হয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় ছাড়াও ফুটবল সংক্রান্ত প্রচারণায় অংশ নেব। আমি জানি, কলকাতা ও বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার প্রচুর ভক্ত ও সমর্থক আছেন। আমি তাদের সঙ্গে দেখা করতে মুখিয়ে আছি। শতদ্রুকে এই উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ। আমি তোমাদের ভালোবাসি।’
এর আগে কলকাতার ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত শুধু কলকাতায় আনার ব্যাপারে যোগাযোগ করেছিলেন মার্তিনেজের সঙ্গে। মার্তিনেজ ঢাকায় আসছেন সম্পূর্ণ নিজের আগ্রহে। কলকাতা সফর চূড়ান্ত হওয়ার পর শতদ্রুকে মার্তিনেজই বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে তাঁর ইচ্ছার কথা জানান। শতদ্রু এরপর সফরসূচির মধ্যে ঢাকা সফরের ব্যাপারটিও যুক্ত করেন। গত ২১ মে শতদ্রু প্রথম আলোকে জানান, মার্তিনেজের আগ্রহের কারণেই তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন পৃষ্ঠপোষকদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। সেদিন জানা গিয়েছিল, ৩ জুলাই ভোরে মার্তিনেজ ঢাকায় আসবেন। সেই দিনটা থেকে পরদিন সকালে চলে যাবেন কলকাতায়।
গত ডিসেম্বরে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে গোলরক্ষক মার্তিনেজের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফ্রান্সের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল ৩-৩ গোলে অমীমাংসিত থাকার পর সেটি টাইব্রেকারে গড়ালে মার্তিনেজ নায়ক হয়ে যান টাইব্রেকারের একটি শট ঠেকিয়ে। শুধু তা–ই নয়, অতিরিক্ত সময়ের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে ফ্রান্সের একটি নিশ্চিত গোল প্রচেষ্টা অসাধারণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দিয়েছিলেনতিনি। লিওনেল মেসি যদি আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক হন, তাহলে মার্তিনেজ অবশ্যই পার্শ্বনায়ক।
৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান অবশ্যই লিওনেল মেসির। মেসি যদি সেই জয়ের অবিসংবাদী নায়ক হয়ে থাকেন, পার্শ্বনায়কদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল কে, তা নিয়েও বলতে গেলে কোনো বিতর্ক নেই। গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। বাংলাদেশের আর্জেন্টিনা সমর্থকদের কাছেও তাই মার্তিনেজ নায়কই। খ্যাপাটে এই গোলরক্ষক গত দুই বছর ধরেই আর্জেন্টিনার গোলপোস্টের নিচে আস্থা ও ভরসার প্রতীক। বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কারটিও উঠেছে তাঁর হাতেই।