এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে অন্তত দুটি জয়ের আশা নিয়ে দেশ ছেড়েছিল বাংলাদেশ দল। নিজেদের গ্রুপের ভুটান ও গুয়ামকে হারানোর লক্ষ্যের কথা বলেছিলেন বাংলাদেশ কোচ মারুফুল হক। সঙ্গে ছিল শক্তিশালী সিরিয়া ও ভিয়েতনামের বিপক্ষে লড়াইয়ের আশা।
সিরিয়া ও ভিয়েতনামের সঙ্গে অবশ্য খুব একটা লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ, হেরেছে ৪-০ ও ৪-১ গোলে। গুয়ামের বিপক্ষে দুইবার এগিয়ে গিয়েও ড্র করেছে ২-২ গোলে। তবে শেষ পর্যন্ত পূরণ হয়েছে একটা লক্ষ্য, ভিয়েতনামের হাই ফোংয়ে আজ ভুটানকে ২-১ গোলে হারিয়েছে মারুফুল হকের দল।
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই দারুণ এক গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। উইঙ্গার আসাদুল মোল্লার দারুণ শট যায় ভুটানের জালে। তবে গিয়েও ভুটানকে সেভাবে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। অনূর্ধ্ব-২০ দলটির বড় সমস্যা দলীয় সমন্বয়। আজও সেটির অভাব দেখা গেছে।
নিচ থেকে খেলা গুছিয়ে আনলেও ভুটানের সীমানায় গিয়ে বারবার খেই হারিয়েছেন দলের ফরোয়ার্ডরা। উল্টো প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোল খেতে বসেছিল বাংলাদেশ, ভুটানের একটি শট ক্রসবারে লেগে ফিরে এলে বেঁচে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে ভুটান বেশ চড়াও হয়েছিল বাংলাদেশের ওপর। বেশ কয়েকবার আক্রমণেও ওঠে, কিন্তু বাংলাদেশের রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় বিপদ হয়নি। ম্যাচের ৭০ মিনিটে পিয়াস আহমেদ নোভা গোল করেছিলেন, কিন্তু সেটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়।
পরের মিনিটেই আত্মঘাতী গোল এক খেয়ে যায় বাংলাদেশ (১-১)। নিচ থেকে বাড়ানো একটি লং পাস বাংলাদেশের বক্সের ওপর পড়লে আসাদুল সাকিব হেড করে বলটি ক্লিয়ার করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু গোলকিপার ইসহাক আকন্দ এগিয়ে এলে বল তাঁর মাথার ওপর দিয়ে বার পোস্টে লেগে ঢুকে যায় ভেতরে। ইসহাক দৌড়ে গিয়ে বল ফেরালেও ততক্ষণে তা গোললাইন অতিক্রম করে যায়।
স্কোরলাইন ১-১ হওয়ার পর বাংলাদেশের আক্রমণের ধার বেড়েছিল। সেই ফল আসে ৮৬ মিনিটে। আসাদুল মোল্লার পাস থেকে বল ধরে ভুটানের ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ও জয়সূচক গোলটি করেন মইনুল। ১০ নম্বর জার্সির মইনুল গোল করেছিলেন গুয়ামের বিপক্ষেও।