এবারের দলবদলেও বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করেছে চেলসি
এবারের দলবদলেও বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করেছে চেলসি

দলবদলে খরচের নতুন রেকর্ড প্রিমিয়ার লিগে

দলবদল বাজার বন্ধ হওয়ার এক সপ্তাহ আগেই খরচে গতবারের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে প্রিমিয়ার লিগ। ক্লাবগুলো যেভাবে কেনাকাটা চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে প্রথমবারের মতো এক উইন্ডোতে ২০০ কোটি পাউন্ড খরচের মাইলফলকও স্পর্শ করে ফেলতে পারে ইংল্যান্ডের শীর্ষ প্রতিযোগিতাটি।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক পেশাদার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ডেলয়েটের স্পোর্টস বিজনেস গ্রুপের হালনাগাদ তথ্য বলছে, ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো ১.৯৫ বিলিয়ন পাউন্ড বা ২২৭ কোটি ২৭ লাখ ইউরোর বেশি অর্থ খরচ করেছে, যা গত বছরের পুরো গ্রীষ্মকালীন দলবদলের খরচের চেয়েই বেশি।

২০২২–২৩ মৌসুমের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে প্রিমিয়ার লিগের ২০টি দল মোট ১.৯২ বিলিয়ন পাউন্ড বা ২২৩ কোটি ৭৭ লাখ ইউরোর মতো খরচ করেছিল।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে গত গ্রীষ্মকালীন দলবদলের খরচটিই এক উইন্ডোতে সর্বোচ্চ ছিল এত দিন। ২০১৬–১৭ মৌসুমে খরচ করা ১৬১ কোটি ইউরো এখন তৃতীয় স্থানে।

সাদিও মানের মতো অনেক তারকা ফুটবলারকে কেনায় সৌদি প্রো লিগের খরচও অনেক

এবারের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে প্রিমিয়ার লিগের পরই অবস্থান করছে সৌদি প্রো লিগ। ট্রান্সফারমার্কেটের তথ্য অনুযায়ী, নেইমার, করিম বেনজেমা, রিয়াদ মাহরেজদের কিনে নেওয়া লিগটি চলতি উইন্ডোতে এখন পর্যন্ত ৮৪ কোটি ৩৭ লাখ ইউরো খরচ করেছে। তালিকার তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে যথাক্রমে সিরি ‘আ’ (৭৫ কোটি), লিগ আঁ (৬৮ কোটি) ও বুন্দেসলিগা (৬৬ কোটি)। ৩৮ কোটি ৪০ লাখ ইউরো খরচ করে ষষ্ঠ স্থানে স্পেনের লা লিগা।

কেনা বাবদ খরচের মতো বিক্রি বাবদ আয়েও অবশ্য প্রিমিয়ার লিগই এগিয়ে। এখন পর্যন্ত ১২১ কোটি ইউরোর খেলোয়াড় বিক্রি করেছে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো। যার মধ্যে হ্যারি কেইন (টটেনহাম থেকে বায়ার্ন মিউনিখ), ডেকলান রাইস (ওয়েস্ট হাম থেকে আর্সেনাল) ও ময়েজেস কাইসেদোর (ব্রাইটন থেকে চেলসি) বিক্রি বাবদই উঠেছে ৩৩ কোটি ইউরোর বেশি।

এবারের দলবদলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রায় ৯৫ কোটি ইউরোর খেলোয়াড় বিক্রি করেছে ইতালিয়ান সিরি ‘আ’র ক্লাবগুলো। ৭৯ কোটি ইউরোর খেলোয়াড় বিক্রি করে তৃতীয় স্থানে বুন্দেসলিগা।

ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোর দলবদল বাজার বন্ধ হয়ে যাবে ১ সেপ্টেম্বর। তবে সৌদি প্রো লিগের বাজার উন্মুক্ত থাকবে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।