বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের স্টেডিয়াম সিগন্যাল ইদুনা পার্কের বাইরে পিএসজির দলীয় বাস
বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের স্টেডিয়াম সিগন্যাল ইদুনা পার্কের বাইরে পিএসজির দলীয় বাস

এমবাপ্পেকে রেখেই চলে গেল পিএসজির বাস

সিগনাল ইদুনা পার্কে কাল রাতে পারফরম্যান্স তেমন ভালো ছিল না। গোল পাননি। একবার শুধু বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের পোস্ট কাঁপিয়েছেন। প্রথমার্ধে মাত্র ২৬ বার বল স্পর্শ করেছেন, পিএসজির শুরুর একাদশে নামা আউটফিল্ড খেলোয়াড়দের মধ্যে যা সবচেয়ে কম। দলও ডর্টমুন্ডের মাঠে ১–০ গোলে হারায় স্বাভাবিকভাবেই সময়টা ভালো যায়নি কিলিয়ান এমবাপ্পের। এর মধ্যে আবার অন্য এক ঝামেলায় পড়েছিলেন এমবাপ্পে। পিএসজির দলীয় বাস তাঁকে রেখেই চলে গিয়েছিল ডর্টমুন্ড বিমানবন্দরে।

চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে পিএসজির হারের পর এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম ‘লা পারিসিয়ান।’ সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সিগনাল ইদুনা পার্কে ড্রাগ টেস্টে অংশ নেওয়ায় সতীর্থদের সঙ্গে দলীয় বাসে বিমানবন্দরে যেতে পারেননি এমবাপ্পে। পরে একটি প্রাইভেট কারে বিমানবন্দরে যোগ দেন সতীর্থদের সঙ্গে।

‘লা পারিসিয়ান’ জানিয়েছে, এমবাপ্পেকে রেখে পিএসজির দলীয় বাসের বিমানবন্দরে চলে যাওয়া অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। কোনো খেলোয়াড়ের দেরি হলে দীর্ঘক্ষণের অপেক্ষা এড়াতে প্রায় সব দলই এটা করে।

বিমানবন্দরে সতীর্থদের সঙ্গে যোগ দেন এমবাপ্পে

ফিরতি লেগে আগামী মঙ্গলবার নিজেদের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হবে পিএসজি। জার্মানি ছেড়ে যাওয়ার আগে ডর্টমুন্ডকে ব্যাপারটা মনেও করিয়ে দিয়েছেন এমবাপ্পে।

নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের স্টোরিতে একটি দলীয় ছবি পোস্ট করেছেন পিএসজি ফরোয়ার্ড। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘হাফ টাইম। এখন সামনে প্যারিস।’ এমবাপ্পে হাফ টাইম হিসেবে সম্ভবত প্রথম লেগকে বুঝিয়েছেন। এখনো ফিরতি লেগের ৯০ মিনিট বাকি। আর সে ম্যাচটি হবে পিএসজির মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে। ব্যাপারটা ডর্টমুন্ডের জন্য একধরনের সতর্কবার্তাও।

ডর্টমুন্ডের মাঠ থেকে হেরে ফিরতে হয়েছে এমবাপ্পেকে

ফুটবলের পরিসংখ্যানবিষয়ক এক্স অ্যাকাউন্ট ‘মিস্টারচিপ’ জানিয়েছে, পিএসজি ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় প্রতিপক্ষের মাঠে প্রথম লেগ এক গোলের ব্যবধানে হারের পর এমন ৬ ম্যাচের ৪টিতেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ২০১৯–২০ চ্যাম্পিয়নস লিগ এর সাম্প্রতিকতম উদাহরণ। সেবার শেষ ষোলোয় প্রতিপক্ষের মাঠে প্রথম লেগ ২–১ গোলে হেরেছিল পিএসজি। কিন্তু পার্ক দে প্রিন্সেসে ফিরতি লেগ ২–০ গোলে জিতে ঠিকই কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে ফরাসি ক্লাবটি। ওহ, প্রতিপক্ষের নামটাই বলা হয়নি—বরুসিয়া ডর্টমুন্ড!