আরও একটি ব্যালন ডি’অর কি পেতে যাচ্ছেন মেসি
আরও একটি ব্যালন ডি’অর কি পেতে যাচ্ছেন মেসি

মেসির হাতে ব্যালন ডি’অর দেখছেন লেভানডফস্কি

গত মৌসুমে ব্যালন ডি’অরের ৩০ জনের প্রাথমিক তালিকাতেই ছিলেন না লিওনেল মেসি। অথচ এক বছর পরই ব্যালন ডি’অরের অন্যতম শক্ত প্রার্থী আর্জেন্টাইন তারকাই। রবার্ট লেভানডফস্কি সেটিই মনে করেন। ৩৬ বছর পর দেশকে বিশ্বকাপ জেতানোর পর মেসির হাতেই তিনি ব্যালন ডি’অর দেখছেন।

আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতেছে বলেই নয়। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে মেসির পারফরম্যান্সও ছিল দুর্দান্ত। গোল করেছেন ৭টি, গোল করিয়েছেনও। জিতেছেন গোল্ডেন বল। ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ৩–৩–এ ড্র ম্যাচে মেসির গোল দুটি। টাইব্রেকারেও তিনি লক্ষ্যভেদ করেছেন। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত এক বিশ্বকাপ কাটিয়েছেন মেসি।

৩৫ বছর বয়সে বিশ্বকাপ ট্রফির দেখা পেলেন মেসি

কিলিয়ান এমবাপ্পেও ব্যালন ডি’অরের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। বিশ্বকাপে ৮ গোল করেছেন, জিতেছেন গোল্ডেন বুট। ব্যালন ডি’অরে মেসির সঙ্গে তাঁর যে আরেকটি প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে—সেটা বলাই যায়। তবে লেভানডফস্কির মতে বিশ্বকাপ জেতাটাই মেসিকে এগিয়ে রাখবে ভালো ব্যবধানে, ‘খুব সম্ভবত মেসির সঙ্গে একই ক্লাবে খেলা এমবাপ্পেও ব্যালন ডি’অরের যোগ্য প্রার্থী। কিন্তু বিশ্বকাপ জয়ই সবকিছু নির্ধারণ করে দেবে। মেসি এখন এগিয়ে আছে বিশ্বকাপ জেতার কারণেই। এই অর্জন মেসির কাছে সবকিছু। এখন সে সেই অর্জন উপভোগ করতে পারে।’

বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বের ম্যাচে আর্জেন্টিনার মেসি ও পোল্যান্ডের লেভানডফস্কি

রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী মেসি। ২০০৯ সালে প্রথম এই পুরস্কার পেয়েছিলেন। এরপর ২০১২ পর্যন্ত টানা চারবার জিতেছেন ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত পুরস্কারটি। এরপর ২০১৫, ২০১৯ ও ২০২১ সালে আরও তিনবার তিনি জয় করেন ব্যালন ডি’অর। এই পুরস্কারে তাঁর প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ব্যালন ডি’অর পাঁচটি। গত ১৪ বছরে এই দুজনের বাইরে ব্যালন ডি’অর জিতেছেন কেবল ক্রোয়াট তারকা লুকা মদরিচ (২০১৮) এবং ফরাসি ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমা (২০২২)। কোভিডের কারণে ২০২০ সালে এই পুরস্কার দেওয়া হয়নি। সেবার এর বড় দাবিদার ছিলেন রবার্ট লেভানডফস্কি।