আর্জেন্টিনার শুরুটা ভালো হয়নি। বল পায়ে রাখতেই হিমশিম খাচ্ছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু হঠাৎই দৃশ্যপটের পরিবর্তন। পেনাল্টি পেয়ে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি প্রথম গোল করেন। এরপর তরুণ তুর্কি হুলিয়ান আলভারেজও করেন দুর্দান্ত এক গোল। আর বিরতির পর ৬৯ মিনিটে মেসি যেটা দেখালেন, সেটা তো নিখাদ মেসি–জাদু। রীতিমতো টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা রক্ষণভাগকে বোকা বানালেন।আলভারেজকে দিয়ে গোল করিয়ে ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা একদমই শেষ করে দিলেন।
৩-০ গোলে এই জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন মেসি। ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স কাতার বিশ্বকাপে মেসির জন্য নতুন কিছু নয়। নকআউট রাউন্ডে খেলা তিন ম্যাচেই ম্যাচসেরা হয়েছেন মেসি। সব মিলিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন চার ম্যাচে। হয়তো এ জন্যই ক্রোয়েশিয়া কোচ জ্লাতকো দালিচ এই কথা বলতে দ্বিধা করেননি, মেসিই পার্থক্যটা গড়ে দিয়েছেন।
ম্যাচ শেষে দালিচ বলেন, ‘মেসি বিশ্বের সেরা ফুটবলার, সে খুবই বিপজ্জনক ও তাঁর সামর্থ্যও রয়েছে। সব কৌশল তাঁর জানা এবং এমন শীর্ষ পর্যায়ের ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরার সামর্থ্যও তাঁর আছে। এটাই সত্যিকারের মেসি, যাঁকে দেখার প্রত্যাশা থাকে সবার। আজকে তাঁরা চারজন মিডফিল্ডার নিয়ে মাঝমাঠ সাজিয়েছিল এবং আমরা চেষ্টা করেছি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে। তবে মেসি একটা মুভেই পার্থক্য গড়ে দিতে পারে, তৃতীয় গোলটিতে যেমন করেছে।’
আর্জেন্টিনার পাওয়া পেনাল্টি নিয়ে কিছুটা বিতর্ক আছে। রেফারির সে সিদ্ধান্ত নিয়ে ‘সংশয়’ আছে দালিচের মনেও। তবে এটা নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই তাঁর। উল্টো আর্জেন্টিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এই কোচ, ‘ফাইনালে ওঠার জন্য আর্জেন্টিনাকে অভিনন্দন। মাঝেমধ্যে ভাগ্য আপনার সঙ্গে থাকে, মাঝেমধ্যে থাকে না। ফুটবল এমনই। আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।’