মাস্ক পরে খেলছেন এমবাপ্পে। কিন্তু এটার সঙ্গে ঠিক মানিয়ে নিতে পারছেন না
মাস্ক পরে খেলছেন এমবাপ্পে। কিন্তু এটার সঙ্গে ঠিক মানিয়ে নিতে পারছেন না

ইউরো ২০২৪

মাস্ক নিয়ে এমবাপ্পে, ‘এটা সত্যি খুব বিরক্তিকর’

অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই নাকে চোট পান কিলিয়ান এমবাপ্পে। চোট গুরুতরই ছিল, নাকটা যে ভেঙেই গেছে ফ্রান্সের তারকা স্ট্রাইকারের। সেই ভাঙা নাক নিয়ে গ্রুপ পর্বে ফ্রান্সের দ্বিতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলতেই পারেননি। তবে ফিরেছেন তৃতীয় ম্যাচে, পোল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে খেলেছেন মাস্ক পরে।

পোল্যান্ডের সঙ্গে ১–১ গোলে ড্র ম্যাচে মাস্ক পরে খেলা এমবাপ্পে গোল করেছেন পেনাল্টি থেকে। গ্রুপ পর্বে ফ্রান্স যে দুটি গোল পেয়েছে, তার একটি আত্মঘাতী। তাই আজ বেলজিয়ামের বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচেও গোলের জন্য এমবাপ্পের দিকে তাকিয়ে থাকবেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম। কিন্তু এমবাপ্পে যে মাস্ক পরে খেলা নিয়ে আছেন খুব ঝামেলার মধ্যে।

সতীর্থ মার্কাস থুরামের সঙ্গে কিলিয়ান এমবাপ্পের গল্পটা কি মাস্ক নিয়েই হচ্ছে!

ইউরো থেকে ছিটকে যেতে হবে বলে নাকে অস্ত্রোপচার করাননি। কিন্তু ভাঙা নাক রক্ষা করতে মাস্ক পরে খেলতে নেমে ঠিক মানিয়ে নিতে পারছেন না এমবাপ্পে। এরই মধ্যে পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন মাস্ক পরেছেন, কোনোটিতেই ঠিক সুবিধা পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন ফরাসি স্ট্রাইকার।

মাস্ক নিয়ে এমবাপ্পে বলেছেন, ‘প্রতিবারই কোনো না কোনো সমস্যা থাকছে। এটা সত্যিই খুব কঠিন। কারণ, এটা আপনার দৃষ্টি সীমাবদ্ধ করে দেয় এবং ঘাম জমে থাকে।’

মাস্ক নিয়ে একটু যেন বিপাকেই আছেন এমবাপ্পে

এমবাপ্পে এরপর যোগ করেন, ‘প্রথম আমার মনে হয়েছে আমি থ্রিডিতে আছি এবং ইউরোতে আমি ভিআইপি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়েছি। আমি সবাইকে দেখতে পারি, কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছিল যে আমি খেলছি না। এটা খুলে ফেললে আবার সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু এ মুহূর্তে আমার কোনো উপায় নেই। এটা ছাড়া খেলতে পারব না। এটা সত্যি খুব বিরক্তিকর।’

এমবাপ্পে অবশ্য বাস্তবতাও বুঝতে পারছেন, ‘এটা অবশ্য কোনো অজুহাত হবে না। কারণ, একমাত্র এভাবেই (মাস্ক পরে) আমি খেলতে পারব। মাস্কটাকে ধন্যবাদই দিতে হবে।’