মন বদলেছে নেইমারের। পিএসজি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রাজিল ফুটবলের পোস্টার বয়। ক্লাবও তাঁকে ছাড়ার জন্য প্রস্তুত। তবে পিএসজি চায় তাঁকে বিক্রির জন্য ভালো এক প্রস্তাব। নিজেদের চাওয়া মতো প্রস্তাব পেলেই নেইমারকে ছেড়ে দেবে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
গত মৌসুমেই পিএসজি নেইমারকে বিক্রির চিন্তাভাবনা করলেও ভালো কোনো প্রস্তাব পায়নি। নেইমারও তখন পিএসজি ছাড়তে চাননি। তবে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় নেইমার সিদ্ধান্ত বদল করেছেন। এমন খবর দিচ্ছে ইএসপিএন ও ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ইউওএল।
কিছুদিন আগে পিএসজির কট্টর সমর্থক গোষ্ঠী নেইমারের বাসার সামনে গিয়ে তাঁর ক্লাব ছাড়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। পিএসজি কর্তৃপক্ষ অবশ্য সমর্থকদের এমন আচরণে হতাশা প্রকাশ করে তখনই বিবৃতি দিয়েছে। শাস্তি হিসেবে সেসব সমর্থকের স্টেডিয়ামে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ক্লাবটি। তবে নেইমারকে ধরে রাখার জন্য তারা কতটা ইচ্ছুক, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে’কিপের দাবি, পিএসজি নাকি মেসি-নেইমারের ওপর থেকে নজর সরিয়ে ফ্রান্সের তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে নতুন যাত্রা শুরুর কথা ভাবছে। এ পরিকল্পনায় ৩৫ বছর বয়সী মেসির মতো ৩১ বছর বয়সী নেইমারেরও জায়গা নেই।
এমনিতেও ফরাসিদের কাছে নেইমারের ভাবমূর্তি আগের মতো নেই। ফরাসি সংবাদমাধ্যমগুলোতে নিয়মিতই নেইমারকে নিয়ে কাটাছেঁড়া হয়।
গত জানুয়ারিতে আরএমসি স্পোর্টের সংবাদকর্মী দানিয়েল রিওলোও নেইমারের তুমুল সমালোচনা করেছিলেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা কি বুঝতে পারছি, বেতন ও দলবদল খরচ বিবেচনায় নেইমার ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা? এর চেয়ে বড় ব্যর্থতার নজির আমার মাথায় নেই।’
এত সমালোচনার পর নেইমারও নতুন ঠিকানা খুঁজতে শুরু করেছেন। যদিও পিএসজির সঙ্গে তাঁর বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৭ সালে। পিএসজিতে নেইমারের যে বেতন আর চুক্তির মেয়াদ, তাতে শুধু ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বড় কিছু ক্লাবই তাঁকে কেনার সামর্থ্য রাখে বলে মনে করেন অনেকে।
ইএসপিএন জানিয়েছে, নতুন ঠিকানা হিসেবে নেইমারেরও পছন্দ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ।
ইএসপিএন আরও জানিয়েছে, এই মুহূর্তে ব্রাজিলের ফুটবলে ফিরে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেইমারের নেই। লা লিগাতেও নেইমার বার্সেলোনা ছাড়া অন্য কোনো দলে খেলতে চান না। তবে কাতালান ক্লাবটির নেইমারকে কেনার কোনো পরিকল্পনা নেই।