ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ভবিষ্যৎ কী—এটা এখন ফুটবল বিশ্বে সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয়
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ভবিষ্যৎ কী—এটা এখন ফুটবল বিশ্বে সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয়

ইউনাইটেডের জার্সিতে আর হয়তো খেলবেন না রোনালদো

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়তে চান—এমন খবর ফাঁস হওয়ার পর দলবদলের বাজারে অনেক রকমের গুঞ্জনই শোনা গেছে। শুরুতে গুঞ্জন উঠেছিল, রোনালদো চেলসিতে যাচ্ছেন। এরপর এসেছে বায়ার্ন মিউনিখের নাম। কিন্তু দুটি দলই জানিয়ে দিয়েছে—রোনালদোকে তারা চায় না!

এখন গুঞ্জন চলছে—রোনালদো যেতে পারেন তাঁর সাবেক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আতলেতিকো মাদ্রিদে। এসব গুঞ্জনের মধ্যেই আবার ইউনাইটেডের নতুন কোচ এরিক টেন হাগ বলেছেন, রোনালদো তাঁর পরিকল্পনায় ভালোভাবেই আছেন।
ডাচ কোচ টেন হাগ একই সঙ্গে ইউনাইটেডের সঙ্গে রোনালদোর চুক্তির একটি অজানা শর্তও প্রকাশ করেছেন সম্প্রতি, যে শর্ত অনুযায়ী ইউনাইটেড চাইলে রোনালদোকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ওল্ড ট্রাফোর্ডে রাখতে পারবে!

চেলসি আর বায়ার্ন রোনালদোকে চায় না। এখন গুঞ্জন আতলেতিকোকে নিয়ে

কিন্তু ব্রিটিশ সাংবাদিক ও টিভি ব্যক্তিত্ব পিরেস মরগান বলছেন অন্য কথা। তিনি মনে করছেন, রোনালদো হয়তো ইউনাইটেডের জার্সি পরে আর খেলবেন না। প্রাক্‌-মৌসুম প্রস্তুতির ম্যাচ খেলতে ইউনাইটেডের সঙ্গে থাইল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় যাননি রোনালদো। ইউনাইটেড থেকে বলা হয়েছিল, তিনি পারিবারিক কারণেই প্রাক্‌-মৌসুম প্রস্তুতির সফর বাদ দিয়েছেন।

মরগানের দাবি, রোনালদোর সঙ্গে তাঁর সরাসরি যোগাযোগ আছে। সেই যোগাযোগ থেকেই তিনি পর্তুগিজ তারকা সব হাঁড়ির খবর জানেন। সেই জানা থেকেই মরগানের বলা—রোনালদোর আর ইউনাইটেডের জার্সি পরার সম্ভাবনা খুবই কম এবং তাঁর পরের গন্তব্যটা সবার কাছেই হবে বিস্ময়কর।

টক স্পোর্টকে মরগান বলেছেন, ‘তার সঙ্গে গত সপ্তাহে আমার অনেক কথা হয়েছে। নিশ্চিত করেই বলতে পারি, ইউনাইটেডের হয়ে ক্রিস্টিয়ানোর আর একটা ম্যাচ খেলারও সম্ভাবনা নেই।’

রোনালদো কেন আর ইউনাইটেডে থাকতে চান না, এটা সবাই বোঝেন। গত মৌসুমে ষষ্ঠ স্থানে থেকে লিগ শেষ করেছে ইউনাইটেড। এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা হচ্ছে না তাদের। আর রোনালদোর কাছে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলাটাই বড় ব্যাপার। সেটাই যেহেতু হচ্ছে না, ইউনাইটেডে থেকে কী লাভ তাঁর!

কোথায় যাবেন রোনালদো?

মরগানের কথার সুরটাও এ রকমই, ‘নিজেকে তার জায়গায় দাঁড় করিয়ে ভাবুন। আপনি যদি ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে চলে আসতেন তাহলে বড় শিরোপা জিততে চাইতেন। হিসাবটা সেভাবেই করতেন। ইউনাইটেডে থাকলে কি তা সম্ভব?’

কেউ যখন কোনো ক্লাবে না খেলার কথা বলে দেন, মনটা আর সেখানে থাকে না। আর কোনো ক্লাবে মন না বসলে, সেই দলের হয়ে মাঠে পারফর্ম করাও কঠিন। মরগান বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, মানসিক দিক থেকে সে ক্লাব ছেড়ে দিয়েছে। আমার দুজনের মধ্যে যে কথা হয়েছে, সেটা আমি আপনাদের বলব না। কিন্তু আমি এটা বলতে পারি যে ক্রিস্টিয়ানো মনে করছে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তার লক্ষ্যের সঙ্গে তাল মেলাচ্ছে না।’